আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে থাইল্যান্ডে নিহতের সংখ্যা ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সৈন্য রয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, হাসপাতালে আক্রমণসহ কম্বোডিয়ার কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
এদিকে, থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ‘কম্বোডিয়ানদের অস্ত্র ব্যবহারের কর্মকাণ্ড’ বর্ণনা করেছে।
বিবৃতি বলা করা হয়েছে, সিসাকেট প্রদেশের কান্থারালাক জেলার বান ফুয়েতে একটি পেট্রোল পাম্পের আশেপাশের এলাকায় হামলায় ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন।
থাই সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, সুরিন প্রদেশের কাপ চোয়েং জেলার বান চোরোক এলাকায় ৮ বছর বয়সী এক বালকসহ দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং দুই জন আহত হয়েছে। উবোন রাতচাথানি প্রদেশের নাম ইউয়েন জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। এছাড়া বুরিরাম প্রদেশের বান ক্রুয়াদ জেলায় একজন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় হামলার ফলে বাসস্থান এবং কৃষিজ গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে। সেনাবাহিনী ‘সহিংস কর্মকাণ্ডের’ নিন্দা জানিয়েছে এবং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের রক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছে। আল জাজিরা লাইভ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ অংশে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। আল জাজিরা জানিয়েছে, এরপরেই ওই অঞ্চলে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে থাই বাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের পর কম্বোডিয়ায় যুদ্ধবিমান দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড।