সাহিত্য ডেস্ক :
১. শরতের মেঘ
ভরপুর সৌন্দর্য
এর বেশি কথা বলার সময় এটা নয়
কচি দুর্বার মুখে কী সামান্যই না শিশির —-
কে যেনো তবু বললেন,
এটা ভালো কিছুর আলামত নয় হে
আমি তাকে ভেবে নিলাম
যারা সব কিছুর মধ্যে নিয়ম করে
কিন্তু খোঁজ করে
উনি বোধহয় তাদেরই একজন।
আকাশের দিকে তাকিয়ে
পাখিদের সাথে প্রেমপর্বের এখানেই শুরু।
সেই আকাশ এখন-
সাদা মেঘের আক্রমণের শিকার
কাশগুচ্ছ হাত বাড়িয়ে ডাকছে —
আয়, আয়, আয়
শেষ কবে অতলের ডাক শুনেছি মনে নেই
মনে নেই শেষ কোন শরতে
একবার পিছনে তাকিয়েছিলে
এমন সৌন্দর্যের বিস্তার চোখের
প্রশংসাই করে কেবল
বিলা-নদী, দিগন্তের কাছে একটা ফোন,
অতঃপরও —
ভরপুর সৌন্দর্য।
এর বেশি কথা বলার সময় এটা নয়
২. সংকলন
সকালের ঠাণ্ডা গায়ে জড়িয়ে নেই
তারপর থেকে বিন্দুগুলো কেমন যেনো অচেনা
বিন্দুর বিন্যাস কেমন করে সিন্ধু তৈরি করে
সে অতলে আমার সবকিছু অর্থহীন, নিখোঁজ —
একটা সরল সরলরেখার মতো মুগ্ধ অবস্থায়
দাঁড়িয়ে থাকা কিছু সময়ের জন্য, একটা
শুভকামনার সংকলন গড়ার
জোর তাগিদ তখন থেকে।
গ্রাম্যতা গ্রামজীবন কিনা
তার কুল কিনারা নির্ণয়ে এখন আমরা
চেয়ে থাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী বলেন সেদিকে যেহেতু তিনি প্রধান
সুতরাং প্রথাগত কারণে
আমাদের জন্য সবকিছু নিষিদ্ধ।
প্রেম নিষিদ্ধ, চুমো নিষিদ্ধ, একসাথে চলা
এমনকি চিন্তা নিষিদ্ধ তবে যদি তা হয় মুক্ত
আর সকালের ঠাণ্ডা গায়ে
জড়িয়ে নেয়ার মতো কিছু।
মুখোশটা আরো কিছুকাল
তাহলে কী মুখেই থাকবে?
মুখোশ আর কতকাল মুখের বিকল্প হবে?
৩. দশের নামতা
চশমাটা খুলে নাও,
দশের নামতা এখন না দেখেই বলতে পারি।
আমি এখন একাই রাতশেষের
ভোর রচনা করতে শিখেছি ; সেই ভোরে
পথের রথ আমি টেনেছি কিনা সেটা বড় কিছু না
তবে রথ পথে ছিল এটা মনে রেখেছি
রথযাত্রা, সাতদিন পরে বিপরীত যাত্রা
আমাকে কেউ মনে রাখেনি,
এবার উল্টোটাও খুব সত্যি
আমার পাশে এখন এতোবেশি ফেউ
বিপরীত যাত্রার চিন্তা একদমই মাথায় আসেনি
চশমা ছাড়াই দেখো দশের নামতা —-