@@@ স্বাক্ষ্য @@@
দীপক চক্রবর্তী
তোমার প্রেমাকর্ষনে আমার হৃদয় মাঝে এক ঘেয়েমি ভাব এসেছিলো,
বুঝেছি, বেলা শেষে নদী তটে দাঁড়িয়ে যখন দেখি সূর্যের প্রতিচ্ছবি
কেননা সূর্যের যাত্রা তো ব-হু-দূ-র।
বেলা শেষে নক্ষত্র ফোটার আগেই আমি এক পরিত্যক্ত ফুলের বৃন্ত কুড়িয়েছি,
নিতে চেয়েছি ফুলের ঘ্রাণ-
আর, জলের ঢেউ গুনা ব্যর্থ প্রয়াস মাত্র,
অবশেষে নিজের দু’চোখেই ঢেউ খেলে যায়!
আমি দেখি — অপলক নেত্রে দেখি
তুমি তো এক প্রস্ফুটিত কামিনী
তোমার শোভায় আজও আলোড়িত মন,
তোমার থেকে পেয়েছি অনেক শিক্ষা
তাই,তুমি আমার শিক্ষকও বটে!
তোমার জ্ঞান অপরিসীম,
আমি সীমার মাঝের এক নিষ্প্রভ বাতি,
জ্যোস্নাজ্জল রাতে স্নান শেষ করে উঠি, এখনও আকাশে বাতাসে সভ্যসমাজের
উতরোল ক্রোন্দন স্বর শোনা যায় গুঞ্জনের মতো-
তোমার প্রেম কী অন্ধকার না শীতের পাখি ?
আরেক সভ্য সমজের অগ্রজযাত্রা। হৃদয় চূর্ণ বিচূর্ণ, আহত
সেই সব স্বাক্ষ্যগুলি জেগে ওঠে স্মৃতীর পাতায়।
প্রতিশ্রুতি গুলো ক্ষীন হয় ক্রমাগত, ধীরে ধীরে, গোধূলী অস্তাচলে
সূর্য শেষ যাত্রার পথে।
তবু কেন ?
নবান্ন খেতের উৎসব শেষে, শূন্য হাতে ঘরে ফেরা
সে রাতে তারা ডেকেছিলে স্বাক্ষ্য দিতে ,
করেছিলো ঝিঝিরা কাঠ ফাটা চিৎকার
পরস্পরাহীন স্বাক্ষ্য সমাপনের আশায় দাঁড়িয়েছি বালুকা বেলায় !