বাণিজ্য ডেস্ক:
চ্যাটজিপিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে স্যাম অল্টম্যান ও সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করেন। ওপেনএআই বোর্ড স্যাম অল্টম্যানকে অপসারণ করেছে বলে জানা গেছে। তবে তাকে বরখাস্ত করা বোর্ড পদত্যাগ না করলে ও অল্টম্যান চ্যাটজিপিটিতে সিইও হিসেবে ফিরে না আসলে, চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ কর্মী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, অল্টম্যানকে চ্যাটজিপিটিতে ফিরিয়ে আনতে ও তাকে বরখাস্ত করা বোর্ডের পদত্যাগের দাবিতে চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ কর্মী। এ বিষয়ে ওপেনএআইকে চিঠি দিয়েছেন কর্মীরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রটিকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রকম্যানের পদত্যাগে প্রতিষ্ঠানের কাজ ও লক্ষ্য বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করছে।’
ওপেনএআই পরিচালনা করার ‘যোগ্যতা’ বোর্ডের নেই জানিয়ে, শিগগিরই স্যাম অল্টম্যান ও অন্যান্যদের স্বপদে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।
এদিকে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ও ওপেনএআই’র সিইও পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া স্যাম অল্টম্যানকে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে টেকনোলজি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। শুধু তাই নয়, ওপেনএআই’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যান ও ওপেনএআই’র অন্য কর্মীদেরও নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পোস্টে মাইক্রোসফ্ট সিইও ও চেয়ারম্যান সত্য নাদেলা জানান, নতুন একটি উন্নত এআই গবেষণা দলকে নেতৃত্ব দিতেই তাদের নিয়োগ দেয়া হবে।
টেক নিউজ সাইট দ্য ইনফরমেশন গত রোববার (১৯ নভেম্বর), অল্টম্যানকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে তার সহকর্মীরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এ ঘোষণা দিল মাইক্রোসফট প্রধান।
মাইক্রোসফট ওপেনএআই’র অন্তর্বর্তী সিইও এমেট শিয়ারসহ নতুন নেতৃত্বের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ বলে জানান সত্য নাদেলা। প্রতিষ্ঠানটি এআই স্টার্টআপের সাথে তাদের অংশীদারত্বের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এআই স্টার্টাপে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট।
অল্টম্যান আরও কয়েকজনের সঙ্গে মিলে ২০১৫ সালে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি প্রকাশের পর থেকে এআই’র সম্ভাব্য সুবিধা ও বিপদের বিষয়গুলো নিয়ে বেশ সরব ছিলেন তিনি। এমনকি এ বিষয়ে ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলনে কথা বলাসহ মার্কিন কংগ্রেসের প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে তাকে।