হোম এক্সক্লুসিভ এশিয়া ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক:

সব জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হয়েছেন সাকিব আল হাসান। আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

তামিম ইকবাল ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের অধিনায়কত্বের বিষয়টি। আলোচনায় ছিলেন সাকিব, লিটন এবং মেহদী হাসান মিরাজ। তবে শেষমেশ সাকিবের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে তাকেই অধিনায়ক ঘোষণা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সাকিবকে অধিনায়ক করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এশিয়া ও বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক সাকিব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজেও অধিনায়কত্ব করবেন তিনি। ও আসলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকতে পারবে কিনা। গতকাল সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাকিবকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম না। তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব কঠিন হতে পারে সাকিবের জন্য। তবে ও যদি পারে তাতে আমাদের সমস্যা নেই। কাল এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল দেবে। তামিম বিশ্বকাপে খেলবে কিনা আমি নিশ্চিত না।’

এর আগে গত মাসে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ওয়ানডে দলে ফিরে এলেও অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। গত ৩ আগস্ট বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানান সদ্য সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক।

বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের আগে ওয়ানডে অধিনায়কের সরে যাওয়াতে কিছুটা বিপর্যয়েই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সংকট নিরসনে আরও একবার ত্রাণকর্তা সাকিব। অভিজ্ঞ এই তারকাকে অধিনায়ক করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বিসিবি।

আপদকালীন সময়ে সাকিবের অধিনায়কত্ব পাওয়ার বিষয়টি অবশ্য নতুন নয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ডেপুটি থেকে প্রথমবার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

২০০৯ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২০১১’র ২১ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৪৭ ওয়ানডেতে তার অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর মাশরাফীর অনুপস্থিতিতে ২০১৫ সালে দুটি ম্যাচ ও ২০১৭ সালে একটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। মোট ৫০ ম্যাচের ২৩টিতে দলকে জয় এনে দেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। তার নেতৃত্বেই গড়ে ওঠে দলের নিয়মিত জয়ের অভ্যাস। বর্তমান টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক অতীতে বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দিয়েছেন টাইগারদের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন