হোম আবহাওয়া বার্তা এবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেল বন্দর নগরী চট্টগ্রাম

আবহাওয়া ডেস্ক:

বর্ষা কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি নয়, এবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই তলিয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। বিশকিছু জায়গায় পানি উঠায় ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। খাল ও নালাগুলো পরিষ্কার না করায় শীতকালেও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাঁটু ও কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক ও অলিগলি। এতে চরম দুর্ভোগে নেমে এসেছে জনজীবনে। কর্মজীবীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার এই দৃশ্য দেখেই মনে হবে বর্ষাকালের মতো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু না, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তাতেই ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশকিছু এলাকা।

চকাবাজারের বাসিন্দা হামিদুর রহমা জানান, বর্ষায় জলাবদ্ধতা হয়। কিন্তু শীতকালে জলাবদ্ধতা কখনও দেখিনি। খাল ও নালা বন্ধ, তাই ডুবে গেছে সড়ক মহাসড়ক।

খাল ডুবে ময়লা আবর্জনা উপচে ছড়িয়ে পড়েছে সড়কে। পানিতে তলিয়ে গেছে অলিগলি। বাসাবাড়ি ও বহুতল ভবনে নিচেও পানি। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানি উঠায় বন্ধ বেচাকেনা।

পানি ঢুকে স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পরিবহনের। নষ্ট হয়ে গেছে যন্ত্রাংশ। আয় কমে বিপাকে রিকশা ও সিএনজি চালকরা।

রিকশাচালক হামিদ মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় ঠিকমতো রিকশা চালাতে পারছি না। আজ আয় তেমন হবে না। বাড়ির জন্য বাজার করে নিয়ে যাওয়ার টাকাটাও পাব না মনে হয়।

চট্টগ্রামের দুঃখ নামে খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৩৬ খাল ও নালা খনন রয়েছে। আছে খালের মুখে স্লুইস গেইট নির্মাণ। তারপরও সুফল মিলছে না নগরবাসীর।

আগস্টের শুরুর দিকে কয়েকদিনের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরী তলিয়ে গিয়েছিল। জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পরিবার নিয়ে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করেন হালিশহর, চকবাজারসহ নিচু এলাকার কয়েক লাখ মানুষ।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র অগ্রভাগ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের উপকূল ছুঁয়েছে। এটি মোংলা ও পায়রা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে বাতাসের গতি বেড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক অগ্রসর হয়ে এর মূল অংশ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনে এটি সম্পন্ন হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন