হোম রাজনীতি উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব বাড়ছে খুলনা বিভাগে

উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব বাড়ছে খুলনা বিভাগে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 53 ভিউজ

রাজনীতি ডেস্ক:

উপজেলা নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১০ জেলার ৪৩ উপজেলায় ১৭৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৫২ জনই আওয়ামী লীগের। এতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে মুখোমুখি অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। প্রতিটি উপজেলায় স্থানীয় একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় ঘটছে সংঘর্ষ-হামলাও। হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন অনেকে।

ফলে বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলে। চলছে একে অপরকে কোণঠাসা করার চেষ্টা। বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সংসদ সদস্য বা শীর্ষ নেতারা পছন্দের প্রার্থীর প্রতি প্রকাশ্যে বা মৌন সমর্থন দিচ্ছেন। অনেক প্রার্থী আবার নিজেকে দল সমর্থিত প্রার্থী দাবি করছেন। সভা-সমাবেশে দিচ্ছেন উত্তেজনামূলক বক্তব্য।

এসব কারণে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। নেতা-কর্মী ও স্থানীয়দের ধারণা দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ববের জের চলতে পারে নির্বাচন পরবর্তী দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে নির্বাচন হবে বিভাগের ১৮টি উপজেলায়। উপজেলা গুলোর মধ্যে রয়েছে যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর, মাগুরা সদর ও শ্রীপুর, নড়াইলের কালিয়া, বাগেরহাট সদর, রামপাল ও কচুয়া, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর, কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলা। উপজেলাগুলোতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬৪ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগেরই ৬০ জন।

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে’র নির্বাচনে ২৫ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০৯ জন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ৯২ জন। উপজেলা গুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনার দিঘলিয়া, তেরখাদা ও ফুলতলা, যশোরের শার্শা, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা, মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা, নড়াইল সদর ও লোহাগড়া, বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী, সাতক্ষীরার তালা, দেবহাটা ও আশাশুনি, মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা ও কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু।

তবে একই উপজেলায় একাধিক দলীয় নেতাকর্মী প্রার্থী হলেও দলটি বলছে বড় ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না তাতে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যদি ঘটেও তাতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন