আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় বিরতিহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তেহরানের ইমাম আলী আর্মি অফিসার বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাডেটদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, ‘অবরুদ্ধ গাজায় চালানো হামলার জন্য বড় আঘাত সইতে হবে ইসরাইলকে।’ খবর প্রেস টিভির।
তিনি আরও বলেন, গাজার জনগণকে হত্যার জন্য বড় আঘাত সইতে হবে- এটা ইহুদিবাদীদের জানা উচিত। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ইহুদিবাদীদের জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
এসময় এককভাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ফিলিস্তিনি যুবকদের প্রশংসা করেন খামেনি।
এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলেও ইসরাইলে হামাসের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। যদিও টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে আয়াতুল্লাহ খামেনি জানান, যেসব ফিলিস্তিনি ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনা করেছেন তাদের নিয়ে ইরান গর্বিত।
তিনি বলেন, যারা ইহুদিবাদী শাষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করেছেন, তাদের হাতে আমরা চুম্বন করি। তবে যারা হামাসের সঙ্গে ইরানের নাম জড়াচ্ছে, তারা ভুল করছে।
এর আগে হামাস ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, চলতি বছরের আগস্টে ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনা শুরু হয়। আর এতে পুরোপুরি সহায়তা করেছে ইরান।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, ইসরাইলে হামলা চালাতে আগস্ট থেকে হামাসের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তারা। তারা একইসঙ্গে আকাশ, নৌ ও স্থলে ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনা সাজান।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরান এ হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছে, এমন কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন,
ইরান এ হামলার নির্দেশ দিয়েছে বা এর পেছনে রয়েছে – এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। তবে এটি ঠিক যে, এর সঙ্গে ইরানের সম্পৃক্ততা আছে।