অনলাইন ডেস্ক :
সদ্য শুরু হয়েছে রমজান মাস। সারা পৃথিবী জুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবথেকে পবিত্র এই মাসেই আল্লাহ্র বাণী প্রথম অবতীর্ণ হয় হজরত মহম্মদের কাছে, যা পরে সংকলিত হয় কোরানে। হিজরি সনের নবম মাস এই রমজানে রোজা রাখা, অর্থাৎ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত নির্জলা উপবাস ইসলামের পাঁচটি মূল নীতির অন্যতম। এ দেশে যেখানে ইসলামের ঐতিহ্য জনজীবনে মিশে আছে, সেখানেও আশ্চর্যজনক ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে এ সবের তেমন প্রতিফলন দেখা যায় না। তারই মধ্যে রমজান উপলক্ষে ভারতীয় সংগ্রহশালা এ বার শিল্প বিভাগ থেকে তুলে এনেছে ইসলামি ঐতিহ্যের আটটি নিদর্শন, ‘এ মাসের দ্রষ্টব্য’ হিসেবে ৭ জুন তার উদ্বোধন করলেন রত্নাবলী চট্টোপাধ্যায় ও গৌতম সেনগুপ্ত।
ইসলামি শিল্পকলার নমুনা বলতে চিত্রকলাই এখানে সুপরিচিত। সেই নিদর্শনগুলি ইতিমধ্যেই নবসজ্জিত চিত্রবীথিতে ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু প্রাত্যহিক যাপন ও ইসলামি ধর্মজীবনের অঙ্গ হিসাবে আরও কত কী আছে যা সাধারণ ভাবে মুসলিম সমাজের বাইরের মানুষের চোখের আড়ালেই থেকে যায়। বিস্ময়কর কারুকার্যখচিত জলপাত্র (বাঁ দিকের ছবিতে রুপোর তেমনই একটি মুর্শিদাবাদি সুরাহি), তাঞ্জোরের তামার গোলাপপাশ, মুলতানের নীল এনামেলের মিনার (ডান দিকে), চিত্রিত ও লিপিযুক্ত মাটির পাত্র (মাঝে পঞ্জাব থেকে পাওয়া তেমনই একটি) আর লাহৌরের জেড পাথর বসানো রেহেল বা কোরান-স্ট্যান্ড— সংগ্রহশালার শিল্পবিভাগে এমন নিদর্শন আরও আরও অনেক। আছে শিল্পিত হস্তাক্ষরে অনুলিখিত কোরানের দুর্লভ কপিও। এমন প্রদর্শকে সবার চোখের সামনে এনে সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছেন (চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত, সোমবার বাদে)। এ বার সব মিলিয়ে বড় করে একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হোক না, ইসলামি ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রদর্শনেও যে এশিয়ার প্রাচীনতম সংগ্রহশালা পিছিয়ে নেই তা একটু গর্ব করে বলি না আমরা!
তথ্য সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা