হোম আন্তর্জাতিক ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না আমিরাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে লাখ লাখ জনতা। গাজায় হামলার পরপর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছে আরব-অনারব দেশগুলো। তবে এত কিছু হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আবুধাবি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে যুক্ত চারটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে আমিরাত। এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে তেলআবিবের সঙ্গে ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পৃক্ততা সমান তালে এগিয়ে নিয়ে গেছে আবুধাবি। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি পাশ কাটিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য আরব দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথও প্রশস্ত করে এই আমিরাত। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এই উদ্যোগ থেকে সরে আসে সৌদি সরকার।

হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এর মধ্যে সম্প্রতি সেখানে স্থল অভিযান শুরু করেছে দেশটি। এক মাসের বেশি সময় ধরে চরা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। এসব ঘটনায় আমিরাত জনসম্মুখে যেমন ইসরায়েলের নিন্দা করেছে তেমনি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসেরও নিন্দা করেছে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথাও বলেছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য আমিরাতের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে আমিরাতের অগ্রাধিকার বিষয় হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের পাশাপাশি মানবিক করিডোর চালু করা।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বের করে দিলেও আবুধাবিতে এখনো ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত অবস্থান করছেন। এ ছাড়া যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়নি আমিরাত। সরকারের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে একটি সূত্র। আরেকটি সূত্র বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যা অর্জিত হয়েছে সেটি হারাতে চায় না আমিরাত সরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন