ইবি সংবাদদাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের গেট টুগেদার ও সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রায় তিন হাজার অ্যালামনাই নিয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আনন্দমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মনজারুল আলম, ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আলম মামুন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন হাজার এলামনাই উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত শেষে হামদে বারী তায়ালা পরিবেশন করে ব্যতিক্রম সাহিত্য সংস্কৃতিক জোট। পরে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও ইবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুল হাই। পরে অ্যালামনাইদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সিনা।
এরপর অ্যালামনাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও স্মৃতিচারণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সকল রেজিস্ট্রার্ড এলামনাইদের গিফট সম্বলিত ব্যাগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও গত ২৫ অক্টোবর সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভার স্যুভেনা-২০২৪ এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আপনাদের আগমন এখানে বসন্ত উৎসবের মতো মহিরোহে পারিণত হয়েছে। আপনাদের অ্যালাইমনাইরা অনেকেই ভালো জায়গায় আছেন। আপনারা চাইলে একটা ল্যাব, সেমিনার লাইব্রেরি এমনকি একটা ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনাদের সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। মায়ের যেমন সেবা করা দরকার, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তেমন বিশ্ববিদ্যালয়কে সেবা করবে। আপনারা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আগলে রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য এখনো সফল হয়নি। অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করবো।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখি ইবির অনেক সাবজেক্ট এর কোড বিসিএসে নেই। আমি পিএসসির চেয়ারম্যানকে বলেছি সেই সাবজেক্টগুলোর কোড ক্যাডার সার্ভিস এবং নন ক্যাডার সার্ভিসে যোগ করতে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাধারণ সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পুরস্কার বিতরণী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।