জাতীয় ডেস্ক:
শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পারে তাই সাইবার টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সাইবার জগতে গুজব ছড়িয়ে কেউ পার পাবে না।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে পুরান ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জগতে গুজব বেড়েছে। এজন্য আমাদের পুলিশের সাইবার ইউনিট খোলা হয়েছে। যারা গুজব রটাচ্ছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের শনাক্ত করা সম্ভভ হচ্ছে।
পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মণ্ডপগুলোতে দায়িত্বে থাকবেন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। কাজেই গুজব ছড়িয়ে বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না। নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় সজাগ আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আদর্শ যারা মানে না, তারাই সাম্প্রদায়িক-অসম্প্রীতি ইস্যুটি ডেকে আনে। তাদের জন্যই মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এর আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী। এ সময় ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ পূজা উদ্যাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমীর সন্ধ্যায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মণ্ডবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। উৎসবের উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রতি বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে দায়িত্বে থাকবেন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরাও।
আর ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে এসে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব বন্ধে প্রস্তুত থাকবে সাইবার মনিটরিং টিম।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় কোনো সুনির্দিষ্ট শঙ্কা নেই। তবে সব ধরনের শঙ্কা মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। সব ধরনের শঙ্কা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।
রামকৃষ্ণ মিশনের পূজার নিঘণ্টে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে। এদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত সব মণ্ডপ এলাকা। সন্ধ্যায় মহাষষ্ঠীতে অধিবাস, কল্পারম্ভ ও বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে রোববার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮টা ৬ মিনিটে।
সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন মঙ্গলবার দশমী পূজা শুরু সকাল ৬টা ৩০ মিনিট। পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর রাজধানী ঢাকাতে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে ২৪৬টি মণ্ডপে। ইতোমধ্যে দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতর, ধর্ম মন্ত্রণালয়, মহানগর পুলিশ কমিশনার, নৌ-পুলিশের সঙ্গে নেতাদের বৈঠক হয়েছে।