হোম ফিচার আশাশুনির জুয়া সম্রাট শহীদুলের রমরমা জুয়ার আসর, নিরব প্রশাসন

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনিতে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শতাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে শ্রীউলা ও প্রতাপনগর সিমান্তবর্তী কোলা ভাঙ্গন কুলে রমরমা জুয়া ও মাদকের আসর চলছে। এ ঘটনায় পরিবেশ রক্ষার্থে গ্রামবাসী বাঁধা দিলে জুয়া সম্রাট শহীদুল বলেন জুয়া চলছে তো চলবেই।

সরেজমীনে গেলে অসংখ্য মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী ও এলাকার সহজ সরল ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা জানান শ্রীউলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এড. জহুরুল হকের ছেড়ে চলে যাওয়া মৎস্য ঘেরের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় জুয়া সম্রাট শহীদুল নিজস্ব অর্থায়নে ঘর নির্মান করে ফিল্মিষ্টাইলে জুয়া ও মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

হিজলিয়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুল ও কোদন্ডা গ্রামের জুয়া সম্রাট শহীদুল রমরমা জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার মানুষের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে এলাকায় প্রতিয়িত চুরি ,ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটছে। ওই আসরে জুয়া চলাকালীন সময়ে জুয়াড়ীদের মনোরঞ্জন করার জন্য একটি পক্ষ মাদক যোগান দিচ্ছে। এমন জঘন্য কর্মকান্ডে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে।

এর ফলে এলাকায় চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই, মাস্তানীর আশাংকা করছে এলাকার মানুষ। তারা আরও বলেন জুয়া সম্রাট শহীদুল ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে নর্তকী এনে পুইজালা হাড়িয়ার হাট, খাজরার বালুরমাঠ ও শোভনালীর সিংহের মাঠসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অশ্লিল নৃত্য, মাদক, জুয়া পরিচালনা করে সে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে।

জুয়া সম্রাট শহীদুল বলেন আমি সব কিছু ম্যানেজ করে জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এভাবে খেলা চালিয়ে যাব। জুয়া সম্রাট শহীদুলের এমন উক্তিতে এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। খুটির জোর কোথায় বিষয়টি জানতে চায় সচেতন মহাল।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন বিষয়টি আামদের জানানেই খোজ খবর নিয়ে দেখছি। যদি ঘটনা সত্য প্রমানীত হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন