হোম খেলাধুলা আশরাফুলের পরিণতি হতে পারে সাকিবের

খেলাধূলা ডেস্ক :

ম্যাচ পাতানো বা জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের ‘পোস্টার বয়’ মোহাম্মদ আশরাফুল হারিয়ে গিয়েছিলেন জাতীয় দল থেকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে সাময়িকভাবে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। সেই ক্রিকেটার আর দেখেননি লাল সবুজ জার্সির ছায়া। এদিকে বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করলে একই পরিস্থিতি হতে পারে সাকিব আল হাসানেরও, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় মোহাম্মদ আশরাফুল। যার হাত ধরে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তির বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। হাবিবুল বাশার, আফতাবদের অনুপস্থিতিতে টাইগারদের হাল ধরেছিলেন এ আশরাফুলই। কিন্তু একটি ভুলে চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে তার জাতীয় দলের দরজা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। অপরাধ স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। মেনে নেন শাস্তিও। কিন্তু পাঁচ বছরের সে নির্বাসন শেষে আজ আর জাতীয় দলে জায়গা নেই আশরাফুলের।

এদিকে একই পরিস্থিতির দিকে হাঁটছে টাইগার ক্রিকেটের বর্তমান ‘পোস্টার বয়’ সাকিব আল হাসান। তিনি ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে যুক্ত নন। তবে বিসিবির অভিযোগ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার চুক্তি নিয়ে। যদিও অনেকে বলছেন, বেটউইনার একটি নিউজ পোর্টাল, সেখানে চুক্তিতে কী সম্পর্ক। তবে বোর্ড সভাপতি পাপন বলছেন, এটি একটি অংশ; তাদের মূল ক্যাসিনো ও জুয়া কেন্দ্রিকই।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পাপন বলেন, ‘তারা (বেটউইনার) একেক নামে একেকটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। কিন্তু বেসিক্যালি তারা বেটিং সাইট। ক্যাসিনো, জুয়া কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত।’

বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করলে সাকিবের সঙ্গে বোর্ডের কোনো সম্পর্ক থাকবে না উল্লেখ করে আশরাফুলের প্রসঙ্গও টানেন পাপন। তিনি বলেন, ‘সাকিব ইস্যুতে দ্বিতীয় চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আমরা। যে যেভাবেই বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করুক আমরা মেনে নেব না। আশরাফুলের মতো ক্রিকেটারকেও একটা সময় বাদ দেয়া হয়েছে। এখানে আসলে কোনো সুযোগ নেই।’

পাপন যোগ করেন বলেন, ‘তাকে (সাকিব) চিঠি দেয়া হয়েছে। গতকালকেই উত্তর দেয়ার কথা ছিল। তবে শুনেছি সে আজকের মধ্যে জানাবে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব সে থাকবে কি থাকবে না।’

ফলে শেষ পর্যন্ত সাকিব যদি তার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে না আসে তাহলে আশরাফুলের মতোই চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে তার জাতীয় দলের দরজা। আর সেটা হলে তা দেশের ক্রিকেটের জন্যই ক্ষতি। বিশেষ করে, এখন পর্যন্ত সাকিবের বিকল্প আসেনি তৈরি হয়নি দেশের ক্রিকেটে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ যার বড় উদাহরণ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন