হোম জাতীয় আর্থিক প্রতিবেদনের নয় ছয় বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

জাতীয় ডেস্ক :

দেশের নিবন্ধিত অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সি এ ভবনের মিলনায়তনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফের সদস্যদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, কোন কোন প্রতিষ্ঠান করফাঁকি দিতে এনবিআরে কম মুনাফা দেখিয়ে প্রতিবেদন দেয়। আবার ঋণ নেওয়ার জন্য অন্যরকম প্রতিবেদন জমা দেয় ব্যাংকে। কিংবা বিদেশি বিনিয়োগ আনতেও পরিবর্তন হয় আর্থিক প্রতিবেদনে। এমন কর্মকাণ্ডে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মনে করেন তিনি।

বাণিজ্য সচিব জানান, আর্থিক প্রতিবেদনের কারসাজি রুখতে সরকার অটোমেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেমের মতো অনলাইন পর্যবেক্ষণের সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। এতে আর্থিক প্রতিবেদনের গুণগত মান বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানে কোয়ার্ড-ই-হাসানা নামের একটি বিশেষ উদ্যোগের উদ্বোধন করেন তিনি।

আইসিএবির তত্ত্বাবধানে একটি তহবিল থেকে মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থী অ্যাকাউন্টিং এর বিশেষায়িত শিক্ষায় ঋণ নিতে পারবেন। এতে কোনো সুদ দিতে হবে না বলে জানানো হয়। এছাড়া ঋণের অর্থও পরিশোধ করতে হবে চাকরিজীবনে প্রবেশের পর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম এ তহবিলে প্রাথমিক অর্থ জোগান দিয়েছে। ভবিষ্যতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ তহবিলে অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন আইসিএবির সভাপতি। কর্মশালায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনের খুঁটিনাটি বিষয়ে তুলে ধরা হয়। অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবে এমন কর্মশালায ভবিষ্যেও যুক্ত হবেন বলে আশা করেন আইসিএসবি’র সদস্য ও প্রশিক্ষকরা। এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে বলা হয়, দেশের চাহিদার তুলনায় সনদপ্রাপ্ত নীরিক্ষকের অভাব আছে। তাই মানসম্পন্ন নীরিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো নীরিক্ষায় ব্যয়ও করেন কম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন