বাণিজ্য ডেস্ক:
পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে আরও ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠনের ফ্লোর প্রাইস বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি।
এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের আরও ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলো। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা বাকি ছয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠনের ফ্লোর প্রাইস ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এগুলো হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অরিয়ন ফার্মা ও রেনাটা। তবে রেকর্ড ডেটের পর বিএটিবিসি, জিপি ও রবির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইসও তুলে নেয়া হবে।
শেয়ারবাজারের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলেও ছয় প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এই ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, বিএসআরএম, ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
এর আগে পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে গত ১৮ জানুয়ারি বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি সেখান থেকে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সময় সংবাদকে জানান, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হচ্ছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে বলেও আশা রেজাউল করিমের।
এর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে শেয়াববাজারে সূচকের পতন ঠেকাতে ২০২১ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল বছরের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের মার্চে আবার ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে সব শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ছিল।