হোম অর্থ ও বাণিজ্য আমদানির খবরে কমছে পেঁয়াজের দাম

বাণিজ্য ডেস্ক:

বাজার মনিটরিং ও ভারত থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি হবে এমন খবরে হিলির বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বাজারে গিয়ে দেখা যায় ভারতীয় পেঁয়াজ দুই চারটি দোকানে থাকলেও বেশিরভাগ দোকানে রয়েছে দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ। প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা যা গতকালকেও ছিল ১৬০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। আর এল সির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। যা গতকালকে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

সবজি দোকানদার দিদারুল বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের ভড়া মৌসুম বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন দেশীয় পেঁয়াজ আসছে। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে যদি পেঁয়াজ আসতে থাকে তালে পেঁয়াজের আর সংকট থাকবে না দাম নাগালের মধ্যেই থাকবে।

বাজারে কথা হয় সবজি কিনতে আসা মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, গত কয়েকদিন আগেও এলসির পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৯০ টাকা দেশি পেঁয়াজ ছিল ১২০ টাকা। হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা তো বিপাক পড়ে যাই। তবে আজকে
মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কিনলাম ১১০ টাকা কেজিতে। দাম যদি আর কিছুটা কমে আমাদের জন্য ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ও ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় বলেন, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বাড়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর ফলে পেঁয়াজের দাম রাতারাতি বৃদ্ধি পাই।

তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাজারে অভিযান চলমান রয়েছে কোনো অসৎ ব্যক্তি যদি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিলি বাজারে অভিযান নিয়মিত করা হচ্ছে আজকে অভিযান ছিল আমরা প্রত্যেক দোকানদারকে বলেছি কেউ যেন মজুদ করে দাম বৃদ্ধি না করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন