রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশনে আপিল আবেদন জমা পড়েছিল ৫৬০টি। এর মধ্যে ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি কার্যক্রম শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ছয়দিন চলে শুনানি কার্যক্রম। আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী ও প্রার্থী সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রার্থিতা বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের সময়সীমা শেষ হয় ৯ ডিসেম্বর। পাঁচ দিনে ৫৬০টি আপিল জমা পড়ে। প্রথম দিন ৪২, দ্বিতীয় দিন ১৪১, তৃতীয় দিন ১৫৫, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং পঞ্চম দিন ১৩০ জন আপিল আবেদন করেন। এসব আপিল আবেদনের মধ্যে ৩২ জন বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চান।
শেষ দিনে ৮৪টি আপিলের শুনানি হয়েছে। এতে ২২ প্রার্থীর আপিল মঞ্জুর হয়েছে আর নামঞ্জুর হয় ৬২ জনের।
পঞ্চম দিনে ১০১টি আপিলের শুনানি মধ্যে মঞ্জুর হয় ৪৪টি, নামঞ্জুর হয় ৫২টি আর স্থগিত হয় চারটি, চতুর্থ দিনে ৯৯টি আপিল শুনানির মধ্যে মঞ্জুর হয় ৪৬টি, নামঞ্জুর হয় ৩৫টি আর স্থগিত হয় দুটি, তৃতীয় দিনে ৯৮টি আপিল শুনানির মধ্যে মঞ্জুর ৬১টি, নামঞ্জুর হয় ৩৫টি আর স্থগিত হয় দুটি, দ্বিতীয় দিনে ১০০টি আপিল শুনানির মধ্যে মঞ্জুর ৫১টি, নামঞ্জুর হয় ৪১টি আর স্থগিত হয় আটটি এবং প্রথম দিনের শুনানিতে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান, ৩২টি আবেদন নামঞ্জুর এবং ছয়টি স্থগিত হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। এদিন থেকেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।