বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের বর্ষীয়ান গীতিকার জাভেদ আখতার। সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। আর এ মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসেছে সমাজের সুশীল সমাজ আর নেটিজেনরা।
সম্প্রতি অওরঙ্গাবাদের অজন্তা ইলোরা চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শাবানা আজমির স্বামী ও খ্যাতিমান গীতিকার জাভেদ। ওই উৎসবে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা নিয়ে নিজের মতামত উপস্থিত দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন।
ওই মঞ্চে যদিও সরাসরি ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার নাম উচ্চারণ করেননি জাভেদ। তবে এমনভাবে ওই সিনেমায় থাকা দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন যে তাতে দর্শক আর নেটিজেনদের বুঝতে একদমই সমস্যা হয়নি যে জাভেদ ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা প্রসঙ্গেই কথা বলছেন।
জাভেদ বলেন, কেমন চরিত্র সিনেমায় তুলে ধরতে হবে, সে বিষয়টি নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বোঝা উচিত। যদি সিনেমায় দেখানো হয়, এক পুরুষ চরিত্র একজন নারীকে তার জুতা চাটতে বলছে কিংবা পুরুষটি নারীকে চড় মারছে, আর সে সিনেমা যদি দর্শকদের কাছে সুপার হিট হয় তবে সেটি অবশ্যই সমাজের জন্য বিপজ্জনক বিষয়।
জাভেদ আরও বলেন, সমাজ কোনদিকে এগোবে, কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ সেটি দর্শকেরই চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো উচিত। কারণ, সিনেমার খারাপ বা নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে সমালোচনা করার দায়িত্ব দর্শকদেরই। কী দেখব আর কী দেখব না, সেই সিদ্ধান্ত আমাদের হাতেই রয়েছে।
এরপরই জাভেদ প্রশ্ন তোলেন সমাজের কাছে। বলেন, সমাজের কাঠামো ভালোর দিকে বদলে যাওয়া মঙ্গলজনক। কিন্তু তা না হলেই নীতিবোধ নিয়ে মানুষকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। একসময় সিনেমায় ধনীকে খারাপ আর গরিবকে ভালো মানুষ হিসেবে দেখানো হতো। এখন সবাই নিজের উন্নতি ঘটিয়ে ধনী হতে চায়। এটা ভালো দিক। কিন্তু কারা তাহলে খারাপ? সে বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ব্যক্তিত্বের ত্রুটি আছে এমন কাউকে সিনেমার নায়ক চরিত্রে দেখানো হাস্যকর। এতে দর্শকরা বিপথগামী হবে।
এদিকে জাভেদের এমন মন্তব্য কানে এসে পৌঁছেছে ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা নির্মাতার। রোববার ‘অ্যানিমেল দ্য ফিল্ম’ সিনেমার এক্স হ্যান্ডলে নির্মাতা জাভেদকে ট্যাগ করে লিখেছেন, শক্তিশালী লেখক হয়ে প্রেমিকের বিশ্বাসঘাতকতাকে বুঝতে না পারলে আপনার সমস্ত শিল্পই ব্যর্থ।
নির্মাতা আরও লেখেন, প্রেমে বিশ্বাসঘাতকদের জুতা চাটতে বলাটা অন্যায্য নয়। সিনেমায় প্রেমে বিশ্বাসঘাতক করায় আজ নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে জুতা চাটতে বললে এমন সমালোচনা হতো না, তবে পুরুষের বেলায় তা নয় কেন? ভালোবাসাকে লিঙ্গ রাজনীতি-মুক্ত করা হোক।