হোম রাজনীতি অর্থমন্ত্রী নিজেই তামাক পণ্যের দাম বাড়ান : সাবের হোসেন চৌধুরী

রাজনীতি ডেস্ক:

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বাজেটে সব পণ্যের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ান, কিন্তু শুধু একটি পণ্যের দাম সরাসরি বাড়ান। সেটি হলো তামাক ও তামাকজাত পণ্য। এর ফলে পরোক্ষভাবে তামাক ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে সংসদে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর তামাকের জন্য এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান। কোভিডেও এতো মানুষ মারা যায়নি। কোভিডে তিন বছরে ৩০ হাজার লোক মারা গেছে।

এরপরও কেন অর্থমন্ত্রী যারা তামাক পণ্য উৎপাদন করেন তাদেরকে প্রতি বছর বাজেটে সুবিধা দেন?’

তিনি আরো বলেন, ‘বাজেটে কর বাড়ানোর জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আর অর্থমন্ত্রী নিজেই তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এভাবে দাম বাড়িয়ে তামাক কম্পানিকে উনি মুনাফার একটা সুযোগ করে দিচ্ছেন। কর যদি আরোপই করতে হয়, এমনভাবে করেন যাতে সরকার শতভাগ কর পায়।সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে।’

এ বিষয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী ব্যাখ্যা দাবি করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘তামাক পণ্য থেকে আমরা পাই ২২ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। একটা সারচার্জ আদায় হয়, এই সারচার্জ ৩০০ কোটি টাকা, এর মধ্য থেকে মাত্র ৯ কোটি টাকা আসে এই তামাককে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘তামাকের কারণে বর্তমানে আমরা জিডিপির ২ শতাংশ হারাচ্ছি।

এইভাবে যদি চলতে থাকলে ২০৫০ সালে আমরা ৯ শতাংশ হারাব। সুতরাং আসলে এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি আমাদের গ্রোথটাকে ধরে রাখতে চাই, তাহলে এ ক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ বিষয়ক দূত সাবের হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য শুধু বাংলাদেশ না, সারা পৃথিবীর জন্য এক অস্তিত্ব সংকট। বাংলাদেশ আগামীতে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবে, তা নির্ভর করবে আমরা জলবায়ু পরির্তন জনিত ক্ষতি কিভাবে মোকাবেলা করছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, এই অর্থ বছরের বাজেটে ৩৭ হাজার কোটি টাকার একটি বাজেট বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারের ২৫টি মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ ব্যয় করবে।’

পরিবেশ সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০১০ সালে যখন কেউ জলবায়ু নিয়ে কথা বলত না, তখন বাংলাদেশ তার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। একই ভাবে কপ-২৭ এ লস অ্যান্ড ড্যামেজ-যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা অনেক বছর ধরে আন্দোলন করে চলেছি। সেটার একটি স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। তার পাশাপাশি মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারোটি প্ল্যান প্রণয়ন ও সিজিএফে ক্লাইমেট ভার্নালেবল ফোরামের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বিশ্বে যত উন্নয়নশীল দেশ আছে বিশ্বে তাদের একটা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’ উন্নয়ন পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন