হোম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট : পাকিস্তানে রান্নার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে প্ল্যাস্টিক ব্যাগে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পাকিস্তানে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় বেড়েছে দাম। এ অবস্থায় গ্যাস সংরক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ।

স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (২ জানুয়ারি) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকটের মুখে বড় বেলুনের মতো প্লাস্টিকের ব্যাগে এলপিজি ভরে রান্নাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছেন পাকিস্তানের অনেক সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে বিপজ্জনক এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম টুইটারে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্লাস্টিকের ব্যাগে কম্প্রেসরের মাধ্যমে ভরা হচ্ছে গ্যাস। সেই প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুই কিশোর। দেখে মনে হবে বড় গ্যাস বেলুন হাতে নিয়ে হাঁটছে তারা। কিন্তু জানা গেছে, ওই ব্যাগ ভর্তি করা হয়েছে আসলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলপিজি দিয়ে।

ঘটনাটি পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। একে তো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা অবস্থা, তার ওপর গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে পাকিস্তানবাসীর। দেশটিতে গ্যাস সিলিন্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় একটি সিলিন্ডার কিনতে গুণতে হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার রূপি।

এমন দুরবস্থায় ওই দুই কিশোরের মতো অনেকেই প্লাস্টিকের ব্যাগে করে এলপিজি ভরে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে রান্নাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছেন। একেকটি ব্যাগে প্রায় তিন থেকে চার কেজি গ্যাস ভরা যায়। সময় লাগে ঘন্টাখানেকেরও বেশি। গ্যাস যাতে বের হয়ে না যায়, তাই ব্যাগের মুখে লাগানো হয় নজেল ও ভালভ। এভাবে গ্যাস ভরা বিপজ্জনক বলছেন স্থানীয়রা। কারণ, ওই ব্যাগ ফেটে গেলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

২০০৭ সাল থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ায় রান্নার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান সরকার। বিশেষ করে হাঙ্গু শহরের বাসিন্দারা গত দুবছর গ্যাসের পাইপলাইন খারাপ থাকায় রান্নার গ্যাস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্যাসের চাহিদা মেটাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন