বাণিজ্য ডেস্ক:
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়াও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠছে চীন। এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ডেঙ্গু মহামারির শিকার হয়েছে, যা লক্ষাধিক মানুষকে সংক্রমিত করেছে এবং ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মহামারি এখনও চলছে এবং পরিস্থিতি এখনও চ্যালেঞ্জিং।
চীন সরকার ও জনগণ বাংলাদেশি জনগণের দুর্ভোগে গভীরভাবে প্রভাবিত জানিয়ে তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চলতি বছরের আগস্টের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ব্যক্তিগতভাবে ঘোষণা করেন যে, চীন বাংলাদেশকে ২৫ মিলিয়ন আরএমবি ডেঙ্গু প্রতিরোধী সহায়তা দেবে।
এরপর থেকে দুই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ বজায় রেখেছে এবং চীন থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধী জরুরি সরবরাহের দ্রুত আগমন এবং সময়মতো স্থাপনা নিশ্চিত করতে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করেছে বলে জানান ইয়াও ওয়েন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি কেবল দুই নেতার মধ্যে উপনীত ঐকমত্যের বাস্তবায়নই নয়; বরং চীন ও বাংলাদেশ প্রকৃত বন্ধু যারা আবেগ ও দুঃখ ভাগ করে এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী যারা সবসময় একে অপরকে সাহায্য করে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর এবং গভীরতর হয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং এর বাইরেও চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে জানিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, সব স্তরে সবক্ষেত্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান নিয়মিত বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ক্রমাগত সুসংহত হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহযোগিতা একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, আজ চীনা দূতাবাস এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু কিটের একটি ব্যাচ প্রদান করেছে। গত সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা দূতাবাসের দান করা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ডিজিটাল অবকাঠামো পাইলট সাইট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে এবং দুই দেশের জনগণের জন্য আরও বাস্তব সুবিধা নিয়ে আসবে।