ইবি সংবাদদাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমকামিতায় বাধ্য করা, শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় অন্যান্য এজেন্ডার সাথে সহকারী অধ্যাপক হাফিজের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে ২৩ অক্টোবর তাকে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে শিক্ষার্থীরা তার চূড়ান্ত চাকরিচূত করার দাবি জানিয়েছে।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে সমকামিতা ও যৌন হয়রানি সহ নানা অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তদন্তে সেই অভিযোগের অনেকাংশেই সত্যতা মিলেছে। সেখানে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে তিন ধরনের শাস্তির সুপারিশ করেছি।
সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে উল্লখযোগ্য অভিযোগ হলো- শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কম দেওয়া, মেয়েদেরকে শ্রেণিকক্ষে সবার সামনে জামা কাপড় নিয়ে কথা বলা, নর্তকী, পতিতা, বাজারের মেয়ে, বলে গালিগালাজ, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ক্লাসে কিংবা সবার সামনে হেনস্থা, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারার ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়া এবং অন্যান্য শিক্ষকদের নাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অপমান, অপদস্থ করা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ বলেন, আমরা গতকাল (শনিবার) রেজিস্ট্রারকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ভিসি স্যারের সাথেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে।