জাতীয় ডেস্ক :
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সরকার বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে সরকারের আশা, সব ধরনের মিডিয়া প্লাটফর্মে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে এ ধরনের জটিলতা কিংবা ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভূমিকা, সহনশীল আচরণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী মনোভাব বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ যখন উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করছিলেন, তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলার খবর আসে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার তীব্র নিন্দা জানায় এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে সরকার। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় দেশের ২২ জেলায় মোতায়েন করা হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে যেকোনো প্ররোচনায় সংযত থাকতে এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। সবাইকে যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতেও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ৭১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লায় হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মূলহোতাকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।