হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বিধবা ভাতা উত্তোলন করে নিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্ত

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বিধবা ভাতা উত্তোলন করে নিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্ত

কর্তৃক
০ মন্তব্য 99 ভিউজ

জামাল উদ্দীন :

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা অগ্রনী ব্যাংকের সিনিয়র অভিসার আব্দুল ওয়াদুত এর বিরুদ্ধে আমেনা নামের এক অসহায় বিধবা মহিলার ৯ মাসের টাকা উত্তোলন করে হজমের অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার বিবারনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে,জেলার তালা উপজেলার ৩ নং সরুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড তৈলকুপী গ্রামের বিধবা আমেনা বেগম দীর্ঘ বছর যাবদ সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বিধবা ভাতা প্রতি মাসে ৫ শত করে টাকা ভোঁগ করছিলেন।এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাতার টাকা নির্দিষ্ট তারিখে উঠাতে যান।এ সময় দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাঁর নিকট থেকে ভাতা বই নিয়ে টিপসই লাগিয়ে বই ছুড়ে ফেলে দেন।বলেন টাকা ওঠিয়ে নিয়ে আবারও আসছিস।দ্রুত চলে যা না হলে পুলিশে দেব।নিরুপায় হয়ে চলে আসেন ভদ্র মহিলা।২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসের টাকা উত্তোলনের নির্দিষ্ট তারিখ ১১ জুন গেলে আবারও ঐ মহিলার টাকা তারিখের আগেই ১১ জুন উত্তোলন হয়েছে।বিষয়টি অনুসন্ধানে গত রবিবার ভুক্তভোগী সহ ব্যাংক গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যাই।ম্যানেজার জিল্লুর রহমান ঐ ব্যাংক কর্মকর্তাকে নিজ পকেট থেকে টাকা দিতে বলেন।এ সময় সুচতুর ওয়াদুত বলেন সমাজসেবা অফিস থেকে মনে হয় ২ টা বই ইস্যু করা হয়েছে বলে জানান।এ সময় সমাজসেবা অফিসের এ অঞ্চালে দ্বায়িত্বে থাকা মঞ্জুরুল ইসলাম কে জানালে তিনি ১৫ ই জুন সকাল ১০ টায় বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।আজ সকাল ১০ টা যথা সময়ে ব্যাংকে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম।অনুসন্ধানে দেখা গেছে নির্দিষ্ট তারিখের আগে টাকা উত্তোলন ও প্রকৃত সুবিধাভোগী টাকা না পাওয়ার বিষয়ে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি। তাই আক্কেল সেলামী হিসাবে বিধবা মহিলার ৯ মাসের ভাতা ৪৫ শত টাকা দিতে বলেন সমাজসেবা অফিসার।এ সময় এ প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন সরকারের প্রদান করা টাকা তো উত্তোলন হয়েই গেছে।তাহলে এ টাকা কে দিচ্ছে!! ব্যাংক,সমাজসেবা অফিসার না ম্যানেজার।এমন প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি।তবে সিনিয়র অফিসার অভিযুক্ত আঃ ওয়াদুত বিধবার টাকা পকেট থেকে দিয়েছেন।এখানে প্রশ্নও সামন্য বিধবা ভাতা যদি এ ভাবে হজম করা হয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কি পরিমান অভিযোগ আছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আওয়াল হোসেনের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংএ আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।বিধবা মহিলার ভাতা বই নাম্বার ১২৩/২।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন