মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, একটি সমৃদ্ধশালী ও আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়তে কৃষকদের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে-এই ধারনাকে সামনে নিয়েই সদ্য স্বাধীন দেশকে একটি আত্মনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাড. শামছুর রহমান সম্মেলনের প্রথম পর্ব উদ্বোধনের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রসুল চন্টার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ হোসেন আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হাসান পান্নু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হালিমা রহমান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদশা, জেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা সুলতানা রুবি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, কাউন্সিলর সুমন দাস, আইয়ুব পাটোয়ারি প্রমূখ।
সম্মেলনে দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি আবুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক সরদার নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা হয়।
” মহান স্বাধীনতা দিবস ও উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত যুব-সমাবেশ অনুষ্ঠিত “
শনিবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের দিক নির্দেশনায় বাঙ্গালী জাতি স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু জীবন-যৌবনের সিংহভাগ সময় পাক শাসক গোষ্ঠির ষড়যন্ত্রের কারনে জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা লাভের পর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে গিয়ে ৭১’র পরাজিত শত্রু ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের কারনে সপরিবারে শাহাদাৎ বরণ করেন।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে নিরলসভাবে দৃশ্যমান কাজ করে চলেছে। দেশ আজ মধ্যমা আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। জননেত্রী শেক হাসিনার উন্নয়েন মডেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গ্রহন করছে।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও প্যানল মেয়র-১ কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড বশির আহম্মেদ খান, জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার প্রমূখ।
এর আগে শনিবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচীর আয়োজন করেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে শনিবার সকাল পৌনে ৮ টায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়মীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সকল সরকারী, বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মণিরামপুর প্রেসক্লাব, সেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান, সহকারি কমিনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী সুমন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর-ই আলম সিদ্দিকী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার, রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা মকবুল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মণিরামপুর থানা, পৌরসভা, মণিরামপুর প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। অপরদিকে উপজেলা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
” শহীদ আকরাম স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন “
বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ আকরাম স্মৃতি স্তম্ভের উদ্বোধনস্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ৭১’র শহীদ বীর সেনা শেখ আকরাম স্মৃতি স্তম্ভের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি।
এদিন বিকেলে মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের শহীদ আকরাম মোড়ে এ স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়। ৭১’সালে রাজাকার বাহিনী এই বীর সেনাকে ধরে ওই মোড়ে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ড এখনো মানুষের গা শিউরে উঠে।
