আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফ্রান্সে পুলিশের হাতে কিশোর নিহত হওয়ার পর চলমান প্রতিবাদ ও সমালোচনার মধ্যেই দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে সন্দেহজনক যেকোনো ব্যক্তির ওপর গোপন নজরদারি করতে পারবে পুলিশ।
এ প্রক্রিয়ায় পুলিশ ওই ব্যক্তির ফোনের সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। জাস্টিস রিফর্ম বিলের অংশ হিসেবে বুধবার (৫ জুলাই) এমন আইন পাস করেছে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সরকার।
আইন অনুযায়ী, ফোন ও অন্যান্য ডিভাইসের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, জিপিএস দূরবর্তীভাবে সক্রিয় করে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ওপর নজরদারি করতে পারবে ফ্রান্সের পুলিশ।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাস্টিস রিফর্ম বিলের অংশ হিসেবে বুধবার এমন আইন পাস করেছে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সরকার। দেশটির আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তে সম্মত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে যদি পুলিশ অপরাধী হিসেবে সন্দেহ করে তবে ওই ব্যক্তির ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে গুপ্তচরের মতো নজর রাখার অনুমতি পাবে পুলিশ।
তারা চাইলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফোনের ক্যামেরা, লোকেশন ও ভয়েস রেকর্ডারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। তারপর সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি থেকে কথোপকথন সবই রেকর্ড করা যাবে।
কমপক্ষে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে, এমন শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে এই গুপ্তচরবৃত্তি চালানো যাবে বলে উল্লেখ করেন আইনপ্রণেতারা।
গুপ্তচরবৃত্তির এই আইন প্রণয়নের পর বিভিন্ন বাম দল ও অধিকাররক্ষীদের তোপের মুখে পড়েছেন আইনপ্রণেতারা। ডিজিটাল অধিকার গ্রুপ ‘লা কোয়াড্রেচার ডু নেট মে’ এক বিবৃতিতে জানায়, এসব আইন ‘মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ বাড়ায়’।
গত সপ্তাহে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের এক কিশোর নিহত হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স। পুলিশের দাবি, ওই কিশোর ট্রাফিক আইন বেশ কয়েক দফায় ভঙ্গ করেছিলেন। তাই তাকে থামানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু কিশোর তা না মেনে গাড়ি চালিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে গুলি করলে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কিশোরের। এ ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে নামে ফরাসি জনগণ। এই আন্দোলনের মধ্যেই বুধবার আইনটি পাস হয়।