আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্কে শান্তি আলোচনার দু-দিন বাদেই ইউক্রেনে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এটি ছিল এখন পর্যন্ত বৃহত্তম ড্রোন হামলা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার (১৮ মে) গভীর রাত থেকে এই হামলা শুরু হয়ে স্থানীয় সময় সকাল আটটা পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকে। এই হামলায় ২৭৩টি ড্রোন ব্যবহার করেছে রুশ বাহিনী। মস্কোর হামলা মূলত কিয়েভের মধ্যাঞ্চল, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক এবং ডোনেস্ক অঞ্চলে চালানো হয়।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রুশ হামলায় রাজধানীতে ২৮ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া, চার বছর বয়সী এক শিশুসহ আহত হয়েছেন তিনজন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তিন বছর বার্ষিকীতে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৬৭টি ড্রোন দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল ক্রেমলিন। এবারের হামলার ব্যাপ্তি আগেরবারকে ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে মাত্র দু-দিন আগেই আলোচনায় বসেছিল দুদেশ। গত শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন বছরের মধ্যে প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও তা একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির দ্বার উন্মোচনে ব্যর্থ হয়। অবশ্য ইস্তাম্বুলে ১০০ মিনিটের ওই বৈঠকে উভয় পক্ষ এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সোমবার কথা বলবেন তিনি।
হামলা শুরু হলে কিয়েভ ও আশপাশের অঞ্চল এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল রাত থেকে শুরু করে টানা নয় ঘণ্টা বিমান হামলার সতর্কতার মধ্যে ছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো একাধিকবার রুশ হামলা প্রতিহত করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতে ৮৮টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। আর ১২৮টি সিমুলেটর ড্রোন কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না করে পথে হারিয়ে যায়।
গতকাল ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে যাত্রীবাহী এক বাসে ড্রোন হামলা করে রাশিয়া। ওই হামলায় অন্তত নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়া দুদেশই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করে আসছে। আবার দু দেশই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে।