হোম অন্যান্যসারাদেশ যশোরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ

যশোর অফিস :

যশোরে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অতি অল্প সময়ে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে সফলতাও পাচ্ছেন চাষি। বিজ্ঞানভিত্তিক ও টেকসই পদ্ধতিতে এই চাষ বিশ্বে বহুল প্রচলিত ও পরীক্ষিত। এক শতাংশ জমিতে সনাতন পদ্ধতিতে যে পরিমাণ মাছ চাষ করা সম্ভব তার থেকে ২০-৩০ গুন বেশি মাছ চাষ করা সম্ভব এই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে। যশোরের বায়োফ্লক পদ্ধতির মাছ চাষ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন যশোর প্রতিনিধি রাজেক জাহাঙ্গীর।

সঠিক প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা থাকলে সহজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন, যশোরের নতুন উদ্যোক্তা হাসান শাহরিয়ার। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পর দীর্ঘদিন ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্ভাবনাময় বায়োফ্লকের ওপর দেশে-বিদেশে ট্রেনিং নিয়ে পাঁচ মাস আগে নিজ জেলায় একটি পোল্ট্রি প্রজেক্ট শুরু করেন। প্রথমে পরীক্ষামূলক মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ করেন তিনি। এতে তিনি আশানুরূপ সাফলতা পেয়েছেন। যদিও মাছের দাম অনেক কম থাকায় খুব একটা লাভ হয়নি। তবে আগামীতে অন্য দেশি ও দামি মাছগুলো চাষ করতে পারলে লাভজনক হবে বলে আশা করেন হাসান শাহরিয়ার।
ভক্সপপ : হাসান শাহরিয়ার, উদ্যোক্তা, ইকোনিক ফিস ফার্ম

বাংলাদেশে গত দুই বছরে অনেক চাষি এই পদ্ধতিতে সফলভাবে মাছ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। বেকারত্ব দূরীকরণে বায়োফ্লক মাছ চাষ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তবে এ ক্ষেত্রে চাষিরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতা পেলে দেশের আমিষ-প্রাটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেকারত্বর বোঝা কমানো সম্ভব। কেননা সঠিক ধারণা ও অভিজ্ঞতা না থাকলে বায়োফ্লক সফলতা অসম্ভব। কিছু অসাধু চক্র বায়োফ্লক বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। যা নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিচ্ছে। ভালোভাবে জেনে ও বুঝে এ ব্যবসায় বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
ভক্সপপ : দুই জন নতুন উদ্যোক্তা

২০১৯ সাল থেকে যশোর জেলায় কায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়। এখন এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। অনেকে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে এগিয়ে আসছে।
সটঃ বিশ্বজিত দেব, সিনিয়র মৎস্য কমকতা’, সদর উপজেলা, যশোর।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন