হোম আন্তর্জাতিক ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো দিল্লি

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো দিল্লি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 22 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং প্রতিবেশী দেশটিকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করাওর আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। এর একদিন পরেই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। ঢাকার মন্তব্যকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ উল্লেখ করে নিজ দেশের ‘সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নজর দেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এই সংক্রান্ত একটি লিখিত জবাব প্রকাশ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শ্রী রনধীর জয়সাওয়াল বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি আসলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের সঙ্গে ভারতের পরিস্থিতিকে এক কাতারে ফেলার একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা। অথচ দেশটিতে নিপীড়করা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

গত ১৭ এপ্রিল এক বক্তব্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

এছাড়া, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের একাধিক মহল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। এসবের প্রতিক্রিয়াতেই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে ভারত সরকার।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়ে ভারত বলেছে, অনাবশ্যক মন্তব্য এবং নৈতিকতার ঝান্ডা প্রদর্শন বন্ধ করে তাদের উচিত নিজ দেশের সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা করা।

গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে দাবি করেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ২ হাজার ৪০০টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, চলতি বছর এ ধরনের ৭২টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

এদিকে, ওয়াকফ আইন সংশোধনকে ঘিরে গত ৪ এপ্রিল তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলেও ৮ তারিখ সেটা সহিংস রূপ নেয়। রাজ্য সরকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন হাজার পাঁচেক মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করেছে। ইট, পাথর, লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলে পড়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে একাধিক স্থানে। সহিংসতার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন