হোম ফিচার বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় কৃষক গুরুত্বর আহত: হাত ও পা কাটতে ৫০ হাজার টাকার পুরষ্কার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের কাজ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নে একজন আওয়ামীলীগ কর্মী ও কৃষককে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও নব্য আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী। ঘটনাটি গত ২ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর আনুমানিক দেড়টায় ইউনিয়নের বলদঘাটা কালভার্ট এলাকায় ঘটে।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার ঘটনায় ১১ জন সহ আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করেছে ভুক্তভোগী। এঘটনায় ভুক্তভোগী বৈকারী সরদার পাড়া গ্রামের মৃত হাসেম সরদারের পুত্র মো: আক্তার হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন সাইফুল ইসলাম, মো: জামান, মো: জামাল, আব্দুস সবুর, ইমরান হোসেন, এবাদুল, আশরাফুল, রাশেদ খোকা, নূরুজ্জামান, রাজন, ইলিয়াস সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বাদী গত ২ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষে দুপুরে বৈকারী ইউনিয়ন বলদঘাটা কালভাটের নিকট পৌছালে বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করায় ও পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা ধারালো অস্ত্র দা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে বেআইনী ভাবে পথে গতিরোধ করে।

এ সময় অশ্লীলগালী গালাজ করত এলোপাতাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় আসামীরা চলে যাওয়ার সময় খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির সাংবাদিকদের জানান, মারপিটের ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে (মামলা নং- ১৫/৪-০২-২২) আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান।

এঘটনায় ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এর পক্ষে ভোটের কাজ না করায় এই হামলার শিকার হয়েছি। চেয়ারম্যান আমার হাত ও পা কাটার মূল্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। আমাকে মুঠোফোনে হুমকি দিচ্ছে। এমন ঘটনার প্রমান থাকলেও সদর থানার ওসি আমাকে চেয়ারম্যানের নাম বাদ দিয়ে এজাহার দিতে বলে আমাকে তিন বার লিখিত এজাহার পরিবর্তন করিয়েছেন।

এঘটনায় বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, মারপিটের ঘটনা একটি মামলা হয়েছে শুনেছি আর কিছু জানি না। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং এঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন