বাণিজ্য ডেস্ক:
ঢাকায় বৃষ্টি বৈরিতায় শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশুর হাটে পড়ে গেছে দাম। লোকসানের মুখে পড়া ছোট-মাঝারি গরুর বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, একদিনের মধ্যে গরু প্রতি দাম পড়েছে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আরও বড় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন ক্রেতাহীন বড় গরুর মালিকরা। এই পড়তির বাজারে অবশ্য কোরবানির পশু কিনে খুশি ক্রেতারা।
বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীর আফতাবনগর ও গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কয়েকদিনের অপেক্ষায় থাকা বিক্রেতাদের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে হাট। তবে দিনভর বৃষ্টির পানিতে অনেকটাই ভিজে গেছে লাভ-লোকসানের পাকা খাতা, তাই শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় ঝুঁকি নিচ্ছেন না বিক্রেতারা। প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই ছাড় দিয়েই বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) যে গরু দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেননি বিক্রেতা, আজ সেটা লাখ টাকাতেও বিক্রি করে দিচ্ছেন।
খাদ্যের বাড়তি দামে পশু পালনের পর প্রত্যাশা মতো দাম না ওঠায় যেন বৃষ্টির পানিই ছলছল করে উঠেছে অনেক বিক্রেতার চোখে। বিক্রি না হলে কয়েক দিনের থাকা-খাওয়া আর পরিবহন ব্যয়ের বোঝা নিয়ে যে ফিরতে হবে তাদের।
সোহাগ ইসলাম নামে এক বিক্রেতা বলেন, অনেক আশা নিয়ে হাটে গরু এনেছিলাম। ভেবেছিলাম, ঈদের আগের দিন হয়তো ভালো দাম পাব। গতকাল আমার গরুটির দাম দেড় লাখ টাকাও বলেছেন কেউ কেউ। কিন্তু আজ বৃষ্টি সব শেষ করে দিল! বাধ্য হয়ে এক লাখ ১০ হাজারেই বিক্রি করে দিলাম। কারণ বিক্রি না করে ফেরত নিয়ে গেলে তো আরও লোকসানের মুখে পড়ব।
অবশ্য দাম পড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশু কিনে স্বাচ্ছন্দ্যের কথা জানাচ্ছেন ক্রেতারা। বাজেটের আশপাশে পড়লেই কিনছেন।
নাজিম উদ দৌলা নামে এক ক্রেতা বলেন, আরও আগেই গরু কেনার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে হাটে আসতে পারিনি। তবে আজ শেষ দিনে এসে লাভই হয়েছে। বাজেট যা ছিল, সেই অনুযায়ী অনেক বড় গরু কিনতে পেরেছি।
ত্যাগের মহিমায় বিক্রেতার লোকসানি দুশ্চিন্তা দূর হোক, আর সহজে কিনতে পারার আনন্দে ভরে উঠুক কোরবানি দাতার ঘর- এমন মানসিকতায় বৃষ্টি বৈরিতা শেষ মুহূর্তের কোরবানির পশুর হাট।