হোম অর্থ ও বাণিজ্য বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

বাণিজ্য ডেস্ক:

মার্কিন ডলারের দুর্বল অবস্থান এবং বাজারে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি পরিমাণ মার্কিন অপরিশোধিত তেল সরবরাহের প্রভাবে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ ডলার বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল উঠেছে ৭৫ দশমিক ২৬ ডলারে। যেখানে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৮০ সেন্ট বা ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৭০ দশমিক ২৭ ডলারে।

এবিষয়ে সিএমসি মার্কেট বিশ্লেষক টিনা টেং এক নোটে জানিয়েছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকের আগেই অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। যা বৈঠকের পর আরও বাড়ছে।

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্ভাবাসে সুদের হার বৃদ্ধির চক্র শেষ হওয়ার এবং ২০২৪ সালে ঋণ নেয়ার খরচ কমে আসার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এরপরেই বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ডলারের দাম বিগত ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে যায়।

প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, নিম্ন সুদের হার ভোক্তাদের ঋণের খরচ কমাবে। যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তেলের চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ডলারের মান কম থাকলে সাধারণত অন্যান্য মুদ্রায় তেল কিনতে হলে বিভিন্ন দেশকে কম পরিমাণে অর্থ গুণতে হয়। ফলে তারা তুলনামূলকভাবে কম দামে জ্বালানি তেল কিনতে পারবে।

তাছাড়া ইউএস ক্রুড ইনভেন্টরি থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিমাণে তেল বাজারে ছাড়ার প্রভাবে দাম বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন টিনা টেং।

ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) বলেছে, আমদানি কমে যাওয়ায় ৮ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে প্রত্যাশার তুলনায় ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বাজারে ছাড়া হয়েছে।

৩০ নভেম্বর ওপেক প্লাসের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন যে, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে দৈনিক প্রায় ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে সৌদি আরব ও রাশিয়ার সেচ্ছায় দৈনিক ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। তবুও ব্রেন্ট ত্রুডের দাম এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন