হোম জাতীয় বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু

জাতীয় ডেস্ক :

অবৈধভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পিরোজপুরের পৌনে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু ও হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনাল। বাদ নেই ৫টি মৌজার প্রায় ১২টি গ্রামও। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ মানুষের বসতি ও কৃষি জমি।

পিরোজপুরের কচা নদীর ওপরে পৌনে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। কিন্তু, দক্ষিণাঞ্চলবাসীর এই স্বপ্নের সেতুই এখন পড়েছে হুমকির মুখে।

চলতি বছর জেলা সদরের দেওনাখালী মৌজায় বালুমহালের জন্য মিজান ব্যাপারি নামে এক ইজারাদারকে আড়াই একর জমি ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কচা, সন্ধ্যা ও কালিগঙ্গা নদী তীরের দেওনাখালীসহ ৪ গ্রামের ৫টি মৌজার ৩০ একর জায়গা থেকে অপরিমিতভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু ও হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালসহ প্রায় ১২টি গ্রামের মানুষের বসতি, কৃষি জমি ও সম্পদ। স্থানীয়রা বলেন, যেভাবে বালু তুলছে তাতে নদী ভাঙবে নিশ্চিত। তাতে আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

বালুমহালের জন্য আড়াই একর জায়গায় ২টি বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু অবৈধভাবে ৬টি বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।

এদিকে, নদী ভাঙনে সদরের দেওনাখালী গ্রামটি ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ব্লক দেয়ার কারণে গত আট-দশ বছর স্টিমার ঘাট ও মরিচাল গ্রামটি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও, সম্প্রতি শুরু হওয়া বালু উত্তোলনের কারণে আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেও স্থায়ী কোন সমাধান পায়নি বলে জানায় এলাকাবাসী। তারা বলেন, একবার মাত্র জরিমানা করা হয়েছিল। তারপর আর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

জেলা প্রশাসন বলছে, নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে বালু উত্তোলন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, যদি নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে বালু উত্তোলন করা হয় অবশ্যই এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পিরোজপুরের ৪টি বালুমহাল থেকে ৫০ বাল্কহেড দিয়ে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন