হোম খেলাধুলা ফুটবলে ‘থ্রো ইন’ পরিবর্তিত হয়ে আসছে ‘কিক ইন’

খেলাধূলা ডেস্ক :

৮৫ বছর ধরে চলা আসা ফুটবলের নিয়মের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। ১৯৩৮ সালে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া ১৭ নিয়েমের একটি ‘থ্রো ইন’ পরিবর্তন হয়ে আসছে ‘কিক ইন’। মূলত ফুটবলারদের সময়ক্ষেপণ রোধ করার কৌশল হিসেবে এ নিয়মের প্রস্তাব জানিয়েছে ফিফার ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার।

ক্রীড়া বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। ঊনিশ শতকের মাঝমাঝিতে জন্ম এই খেলার নিয়ম কানুন আসে বিশ শতকে। একেকটি নিয়ম একেক সময় আসলেও ১৯৩৮ সালে ফিফা ও নিয়ম প্রণয়নকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) পুনর্লিখনের মাধ্যমে ১৭টি নিয়ম চালু করে যা সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে আজ অবধি চলমান আছে।

তার মধ্যে একটি ছিল ‘থ্রো ইন’। বল মাঠের বাইরে গেলে অর্থাৎ সাইড লাইন ক্রস করলে এ নিয়ম প্রযোজ্য। ফুটবল পায়ের খেলা হলেও, এই একটি নিয়মে মাঠের বাইরে থেকে ফুটবলার বল ভিতরে ছুঁড়ে মারতো। তবে সমস্যা হচ্ছে, বল মাঠের বাইরে যাওয়ার পর নিক্ষেপ বা ‘থ্রো ইন’ করতে অনেক সময়ক্ষেপণ করেন। মূলত যে দল গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকে তারা সময় নষ্ট করতে এই কৌশল ব্যবহার করেন। এই কূটকৌশলকে প্রতিহত করতে ফিফা আবার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে।

তবে ‘থ্রো ইন’ এর বদলে ‘কিক ইন’ এখনই আসছেনা, আগে পরীক্ষামূলকভাবে নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে এটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপরই সাড়া পেলে, এই নিয়মের পরিবর্তন করা হবে।

ওয়েঙ্গার ‘থ্রো ইনের’ বিষয়ে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দুটি জিনিসে সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট হয়। সেগুলো হলো থ্রো ইন এবং ফ্রি কিক। আর গোল কিকের সময়ও হচ্ছে, কারণ এখন বক্সের মধ্য থেকে খেলা শুরু করা হয়। আমাদের লক্ষ্য হলো খেলাটাকে আরও আকর্ষণীয় করা এবং দ্রুতগতির বানানো। আর হয়তো থ্রো-ইনটা পা দিয়েই করা যায়। উদাহরণস্বরূপ ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই করতে হবে, এমন।’

এছাড়া বল মাঠের বাইরে থাকলে কিংবা কেউ চোটে পড়লে এতদিন সময় গণনা বন্ধ হতো না। এতে শেষদিকে অতিরিক্ত সময় দিয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হত। বিষয়টি নিয়ে তৈরি হত নানা বিতর্ক। তাই খেলার বাইরের ঘটনার সময় খেলার সময় গণনা বন্ধ রাখার বিষয়টি ট্রায়াল চালাবে ফিফা।

এক বিবৃতিতে আইএফএবি বলেছে, ‘খেলার মাঝে রেফারির সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করা, খেলার সময় হিসেবের গ্রহণযোগ্য উপায় এবং কিক ইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এজিএম ভালোভাবেই জানে, এ ব্যাপারগুলোতে এবং অন্য ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দরকার এবং আইএফএবি ও ফিফা মিলে এই ট্রায়ালগুলো পর্যবেক্ষণ করবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন