হোম অর্থ ও বাণিজ্য নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, কী জবাব আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের?

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, কী জবাব আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের?

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 109 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে ঘটা করে মাঠে নামে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। লোক দেখানো দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষাপটেই চিনি, পেঁয়াজ, খেজুর ও সয়াবিন তেলের দাম বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু বাজারে তা কার্যকর হওয়া তো দূরের কথা, দাম আরও বেড়েছে। এমন অবস্থায় ভোক্তার প্রশ্ন, কেন বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার?

রোজায় ক্রেতার খেজুরের চাহিদা যখন তুঙ্গে, দামও ইচ্ছেমতো হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শুল্ক কমানো হলেও কমেনি দাম। কেজিতে বেড়ে গেছে ৪০ শতাংশের বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) খেজুরসহ বিদেশি ফলে সর্বনিম্ন আমদানি মূল্য বাড়িয়ে ধরছে; যার প্রভাব পণ্য মূল্যে পড়ছে।

গত ১১ মার্চের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, সাধারণ মানের খেজুরের কেজি ১৫০-১৬৫ টাকা এবং জাইদি খেজুরের কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে বিক্রির কথা থাকলেও বাজারে মিলছেন সেই দামে।

ক্রেতারা বলেছেন, শুধু দাম বেঁধে দিলেই চলবে না। করতে হবে নিয়মিত বাজার মনিটরিংও।

এদিকে, গত মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু সেই দামের তেল আসছে না বাজারে। মিলে তদারকি আর লোক দেখানো অভিযানে কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল ১ টাকাও দাম বাড়বে না চিনির কেজিতে। কিন্তু বাস্তবে তারও অস্তিত্ত্ব নেই।

ক্রেতারা বলেন, কোনো নির্দেশনা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। যে যার মতো পারছে দাম বাড়াচ্ছে। লাগামহীনভাবে চলছে বাজার।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এককেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৪ টাকা। কিন্তু ২০২৪ সালের শুরুতে দাম ঠেকে ১৩০ টাকায়।

এ পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের প্রশ্ন, দাম নির্ধারণ করে, তা কার্যকরে বারবার কেন ব্যর্থ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়?

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন