আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আজারবাইজানের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করছে নাগোর্নো-কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া বাহিনী। এরই মধ্যে কিছু অস্ত্র সমর্পণ করেছে তারা। শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপে অস্ত্র জমা দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে নাগোর্নো-কারাবাখে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে আজারবাইজান। অভিযান শুরুর একদিন পরই আজারি কর্তৃপক্ষ ও জাতিগত আর্মেনীয় যোদ্ধারা একটি অস্ত্রবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়।
এরপর শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে উভয় পক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া বাহিনী আজারবাইজানের কাছে অস্ত্র সমর্পণ শুরু করেছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো নিশ্চিত করেছে, শুক্রবার মিলিশিয়া বাহিনী প্রথমধাপে অস্ত্র সমর্পণ করেছে এবং রাশিয়ান শান্তিরক্ষীদের সহায়তায় চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নাগোর্নো-কারাবাখে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে আজারবাইজানের সেনারা। সেই সঙ্গে ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে আর্মেনীয় সেনাদের সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। আজারি সেনাদের অভিযানের ফলে নতুন করে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়।
অন্যদিকে সংঘাত থামাতে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অস্ত্রবিরতিতে সম্মতি জানায় উভয় পক্ষ। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, নাগোর্নো-কারাবাখে একটি অস্ত্রবিরতে পৌঁছেছে তারা। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পানিশিয়ান বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি হওয়াটা ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’।
নাগোর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে এখন পর্যন্ত দুটি যুদ্ধ করেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম যুদ্ধ হয় ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। সবশেষ যুদ্ধ হয়েছে এখন থেকে তিন বছর আগে ২০২০ সালে। সংক্ষিপ্ত অথচ রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধ শেষ হলেও দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি।
বর্তমানে অঞ্চলটি রুশ শান্তিরক্ষীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আজারবাইজানের অভিযোগ, অঞ্চলটিতে আর্মেনীয় সেনাদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।