জাতীয় ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এ আদেশ দিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ঠিক করেছেন।
ট্রাইব্যুনালে মামুনের আইনজীবী জোবায়ের আহমেদ তার অব্যাহতির আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আকবর তার বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
লালবাগ থানার এ মামলায় গত ১৭ জুন হাসান আল মামুনকে আসামি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ এজাহারের পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশন) আসলাম উদ্দিনের দেওয়া অভিযোগপত্র অনুযায়ী গত ৩ নভেম্বর কেবল মামুনকে আসামি রেখে বাকিদের অব্যাহতির আদেশ দেয় আদালত।
অব্যাহতি পাওয়া বাকিরা হলেন- ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, সভাপতি নাজমুল হুদা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি।
উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও তাতে সহযোগিতার অভিযোগে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান সোহাগ ও নুরুল হক নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী।
পরদিন ধর্ষণ ও সোশাল মিডিয়ায় ‘চরিত্র হননের’ অভিযোগে ওই ছয়জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা করেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাতেরও কেবল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) । নূরসহ বাকিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।