মাহমুদুল হাসান শাওন, দেবহাটা :
দেবহাটা উপজেলা পরিষদের আসন্ন উপ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের নির্বাচিত সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান জননেতা আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। সদ্য প্রয়াত দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল গণির মৃত্যু জণিত কারনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য হওয়ায় ওই পদটিতে আসন্ন উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষনা দেয়ার পর সম্প্রতি তার প্রতিপক্ষরা তাকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে জননন্দিত আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মুজিবর রহমান অভিযোগ করেছেন ।
তিনি বলেন, টানা বাইশ বছর ইউপি সদস্য ও ত্রিশ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২০১২ সাল থেকে অদ্যবধি আমি দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১৬ সাল থেকে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন ও মানুষের কল্যানে কাজ করছি।
আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেবহাটা উপজেলার প্রত্যেকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবকাঠামোগত ও সার্বিক উন্নয়নে নিরালস কাজ করেছি। অন্তত বিগত এক দশকের মধ্যে দেবহাটায় এমন কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড নেই যেখানে আমার হাতের ছোঁয়া লাগেনি।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা- ০৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি’র সার্বিক সহযোগীতায় আমি দেবহাটার সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সার্বিক ক্ষেত্রে আমুল উন্নয়ণ করেছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত, শিক্ষা প্রতিষ্টানের নতুন ভবন, সাইক্লোন শেল্টার, ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন, ব্রীজ, কালভার্ট ও কার্পেটিং রাস্তা বরাদ্দ করিয়েছি। দেবহাটা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল সমুহে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দেবহাটা উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে সবসময় উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। সহিংসতাকালীন ও তৎপরবর্তী দলের সুসময়ে ও দুঃসময়ে দলকে সুসংগঠিত করতে সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি।
যার ফলে উপজেলার দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পরপর দু’বার দায়িত্বরত তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যানদের সাথে প্রতিদ্বন্দীতায় অংশ নিয়ে ভোটের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। দীর্ঘ এ রাজনৈতিক জীবনে আমি যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছি, ঠিক তেমনি দলীয় ও বিরোধী দলীয় মিলিয়ে আমার একাধিক প্রতিপক্ষও তৈরী হয়েছে। যারা সবসময় আমার ক্ষতিসাধন ও আমাকে জনবিচ্ছিন্ন করে আমার স্থানটি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
গত ২৫ জুন দেবহাটায় মনিরুল ইসলাম নামের একজন ইজিবাইক চালক খুন হয়। সে আমার ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল গাজীর ছেলে। বর্তমানে ওই হত্যার ঘটনাটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তধীন রয়েছে এবং ইজিবাইক চালক মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ও তার প্রেমিক কামটা গ্রামের রাজুসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার রয়েছে। যারা অবৈধ পরকীয়ার কারনে মনিরুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলোক জবানবন্দি দিয়েছে। সম্প্রতি দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে আমি প্রার্থীতা ঘোষনা দেয়ার পর ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সম্পূর্ন হয়রানী মুলোক ভাবে আমাকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমার প্রতিপক্ষরা। তাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদে এবং অবৈধ অর্থের লালসায় পড়ে হত্যাকান্ডের শিকার মনিরুলের ভাই আমিরুল ইসলাম শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়ে সম্পূর্ন মিথ্যা, হয়রানী মুলোক ও মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন সহ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি।