খেলাধূলা ডেস্ক:
দেশের মাটিতে স্পিনিং উইকেটেই সাধারণত বাংলাদেশ খেলে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ ওয়ানডে সংস্করণে অন্যতম সেরা হওয়ায় ইদানীং পেসনির্ভর কিংবা স্পোর্টিং উইকেটই বানিয়ে থাকেন কিউরেটরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেস নির্ভর উইকেটেই দারুণ সফল হয়েছে টাইগাররা। তাই ওয়ানডে সিরিজে তেমন উইকেটই থাকছে। রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানদের মতো স্পিনার আফগানদের দলে থাকায় সিরিজ কঠিন হতে যাচ্ছে বলেই মনে করছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট এমনিতেই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হিসেবেই পরিচিত। এই স্টেডিয়ামেই হবে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো। তবে এবার পেস বোলিং নির্ভর উইকেটে খেলার পরিকল্পনা করছে টাইগাররা। তাই যে উইকেটে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করছে সেখানে রাখা হয়েছে ঘাস। ঘাস থাকছে প্রথম ওয়ানডের উইকেটেও।
গত বছরও একই রকম উইকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ও পেয়েছিল টাইগাররা। এবারও তাই গতি দিয়েই আফগানদের ভড়কে দিতে চান টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল।
সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) তামিম ইকবাল বলেন, ‘উইকেট ভিন্ন। ঘাস রেখে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট হয়। এখানেও তেমনই হবে আশা করছি। তবে দুই দলের জন্য প্রথম ১০-১৫ ওভার একটু চ্যালেঞ্জিং হবে।’
সবুজ উইকেটে পেসাররা সুবিধা পাবে এমনই প্রত্যাশা তামিমের। এই সিরিজে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলার পরিকল্পনা করছে। স্কোয়াডে থাকা তাসকিন আহমেদ,মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামরা সবাই ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন বলেই ইঙ্গিত দিলেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘পেসারদের মধ্যে সবাই ভালো করছে। এখানে হয়তো চেঞ্জ হতে পারে। তিন ম্যাচে হয়তো ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখতে পারবেন।’
শুধু বোলারদেরই নয়, ব্যাটারদের নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পক্ষপাতী তামিম। সুযোগ দিতে চান দলে ফেরা নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেনকে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখতেই এমন পরিকল্পনা টিম ম্যানেজমেন্টের।
তামিম বলেন, ‘‘এই একটা সিরিজে আমরা চেষ্টা করব সবাইকে সুযোগ দিতে। তবে এটা নিশ্চিত নয়। আমরা চেষ্টা করব নাঈমকে সুযোগ দিতে। বড় একটা ইভেন্টের আগে ২-৩টা ম্যাচ খেলতে পারলে ওদের জন্য ভালো।’