হোম অন্যান্যসারাদেশ ঢাংমারী ভোজন খালীর একজন হরিণ শিকারি ধরা পড়লেও বাকিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

ঢাংমারী ভোজন খালীর একজন হরিণ শিকারি ধরা পড়লেও বাকিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

কর্তৃক
০ মন্তব্য 91 ভিউজ

স্বপন কুমার রায়, দাকোপ :

সুন্দরবনে অবাধে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকারে মেতে উঠেছে চোরা শিকারিরা। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন খুলনার দাকোপের বিভিন্ন এলাকায় গোপনে বিক্রি হচ্ছে হরহামেশা। সরজমিনে ভিটিআরসি টাইগার টিম ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে আলাপ কালে স্থানীয় ও ভিটি আরসির টাইগার টিমের সভাপতি নিশীত রায় ,ভিটিআরসির সদস্য উজ্জ্বল সরদার ,ভিটিআরসির সদস্য জগদিশ মন্ডল, আলাউদ্দিন মীর, স্বপন বর্মণ, আবদুল কুদ্দুস মাতবর নুরমোহম্মদ, শেখর রায়ের সাথে আলাপ কালে বলেন, সুন্দর বনে মধু কাটার উদ্দ্যেশে ওমর হাওলার , রানা শেখ ,অহিদ শেখ সহ অনুপম বর্মণ সুন্দর বনে প্রবেশ করে ঝোপের মধ্যে ফাঁদে বাধা অবস্থায় একটি হরিণ দেখতে পেয়ে তারা জবাই করে।

ওমর হাওলাদার ঐ মাংসের অর্ধেক দাবি করলে অন্যরা সমান ভাবে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সমান ভাগে ভাগবেটায়ারা করলে ওমর এটা মেনে নিতে পারিনী তাই সড়যন্ত্র ভাবে অনুপমের দোকানের বারন্দায় মাংস রেখে তাকে সড়যন্ত্র ভাবে ফাসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইগার টিমের সদস্যরা।

তবে অমিত বর্মনসহ ওমর হালাদার, রানা শেখ ও অহিদ হরিনের মাংস সমান অংশে ভাগবাটয়ারা করে নিয়েছে। এই অবস্হায় অনুপম বর্মন (৩৩)কে তিনকেজি হরিনের মাংসসহ আটক করে বন রক্ষিরা। কিন্তু অপর তিন জনের নামে মামলা না হওয়ায় জনমনে নানাপ্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ভিটিআরসি টাইগার টিম সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব সুন্দরবনের কোল ঘেষা উপজেলার ঢাংমারী ভোজনখালী, এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি হরিণ শিকারী চক্রের সদস্যরা বেশ কিছুদিন যাবৎ সুন্দরবনে অবাধে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকার করে আসছে। বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে সুন্দরবনে ঢুকে অনেক লম্বা ফাঁদ দিয়ে খুব সহজেই হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসে ওই চক্রের সদস্যরা।

পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার নেয়া লোকজনের নিকট কেজি প্রতি ৫০০শ থেকে ৬০০শ টাকা দরে নগদ ও বাকিতে বিক্রি করছে। মাঝে মধ্যে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের কাছে হরিনের মাংস ও চামড়াসহ এসব শিকারী চক্রের দুই একজন সদস্য ধরা পড়ে কয়েকটি মামলা খেলেও কখনও থেমে নেই হরিণ শিকার। এসব শিকারী চক্রের কোন কোন সদস্য আবার পালিয়েও যায় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া স্থানীয় বেশ কয়েকজন ক্ষমতাসিন দলের প্রভাবশালী নেতা ও জন প্রতিনিধিরা এসকল শিকারী চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ইচ্ছামত হরিণের মাংসসহ নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকে বিধায় হরিণ শিকার কিছুতেই বন্দো হচ্ছে না বলে এলাকার লোকজনের অভিযোগ। এমনিভাবে চোরা শিকারীদের সুন্দরবনে হরিণ নিধন চলতে থাকলে আগামীতে এ চিত্রল মায়াবী হরিণ বিলুপ্ত হতে পারে বলে ওই লোকজন মনে করেন।

ওই চোরা চক্রের সদস্যদের নামে হরিণ শিকারের একাধিক মামলাও আছে বলে তারা জানান। এ প্রসঙ্গে পুর্ব বনভিবাগের চাঁদপাই রেঞ্জধীন ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন তিনিও শুনেছেন বন সংলগ্ন এলাকার কয়েকটি চোরা শিকারী চক্রের সদস্যরা আছে। তিনি বলেন গত ২৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ কেজি হরিণের মাংসসহ ঢাংমারী এলাকার অনুপম বর্মন নামে এক চোরা শিকারী চক্রের সদস্যকে ঢাংমারী খালপাড় এলাকা থেকে আটক করেন।

এসময়ে আরো ৩/৪ জন মাংস নিয়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন যার পিওআর মামলা নম্বর-১৩। এসব চোরা শিকারীদের বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান।

এ ব্যাপারে চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ এনামুল হক জানান ইতি মধ্যে এই চক্রের এক সদস্য ধরা পড়েছে। তাদের টহল অব্যহত আছে এবং ওই চক্রের সদস্যদের নাম ঠিকনা কালেকশন চলছে সব হাতে আসলে সকলকে এরেষ্ট করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন