হোম অন্যান্যসারাদেশ ডুমুরিয়ায় দুর্বৃত্তরা ২৫ ব্যবসা প্রতিষ্টান প্রচীর নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে

ডুমুরিয়ায় দুর্বৃত্তরা ২৫ ব্যবসা প্রতিষ্টান প্রচীর নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 132 ভিউজ

খুলনা অফিস:

আদালতের নিষেধাজ্ঞা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা উপেক্ষিত। স্থানীয় বাজার কমিটি সাধারণ সম্পাদক ও শাসক দলের কতিপয় নেতার সহযোগীতায় এক শতাংশ জমি দাবী করে রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা পাকা প্রচীর নির্মান করে ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্টান অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে ১ অক্টোবর রাতে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের চুকনগর বাস ষ্ট্যান্ড সংলঘœ। এমন ঘটনায় রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

জানা গেছে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর বাসষ্ট্যান্ড সংলঘœ উত্তর পাশ এলাকায় মাত্র এক শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় মোঃ আব্দুল সামাদ শেখ গং ও মোঃ সেলিম মোড়ল গংদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ। ওই জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে একাধিকবার স্থানীয় বাজার কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় শালিশী বৈঠাকেও বিষয়টি মিমাংশার সম্ভব হয়নি। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এমন সৃষ্ট সমস্যর সমাধাণ হচ্ছে না বলে এমন অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে সুষ্ট প্রতিকার চেয়ে মোঃ আব্দুল সামাদ শেখ গং আদালতের আশ্রয় নেন। খুলনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বাদীর মামলা নম্বর ১৫১/২০১৬। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বাদীর (সামাদ) পক্ষে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর ওই জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। তাছাড়া যেহেতু বিরোধপূর্ণ জমি সীমান ঘেষে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। তাই আদালত সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ওই জমির সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দেন। এদিকে বিবাদীদের তান্ডব, রাজনৈতিক প্রভাব, হুমকি-ধামকির কারণে এ যাবৎ বাদী ওই জমির ওপর কোন স্থপনা নির্মান করতে পারছেন পারেনি বলে বাদীর অভিযোগ ।

সরেজমিন যেয়ে একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিবাদী সেলিমের পক্ষ নিয়ে ক্ষমতার দাপটে অবৈধ ভাবে চুকনগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ’লীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম শফিকুল ইসলাম, ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সরাসরি সহযোগীতার গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে বিরোধপূর্ণ জমির এলাকা জুঁড়ে পাকা প্রচীর নির্মাণ করেদেয়া হয়। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে অতি জনগুরুত্বপূর্ণ বড় বড় ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্টান। ফলে ব্যবসা প্রতিষ্টার সামনের অংশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকল ব্যবসা-বানিজ্য। বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী মনীন্দ্র নন্দী, পলাশ পাল ও চয়ন সরদারসহ ২৫ ব্যবসায়ী রোবরার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কান্না জড়িত কন্ঠে ওই ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের ব্যবসা-বানিজ্য সব বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্টানে থাকা ফাষ্ট ফুট, মিষ্টি বিনষ্ট হয়েছে। বন্ধ হয়েছে চিকিৎসকের চেম্বর। ক্ষতি হয়েছে লাখ লাখ টাকা।

জমির মালিক মোঃ আব্দুর সামাদ বলেন, প্রতিপক্ষরা আদালতে নির্দেশনা এবং ইউএনওর নির্দেশ অমান্য করেছেন। তবে অবৈধ প্রচীন এখনো অপসারণ করা হয়নি। মুক্ত হয়নি ২৫টি ব্যাবসা প্রতিষ্টান।

মোঃ সেলিম মোড়ল বলেন, দলিলপত্রে আমি জমি দাবীদার। তাই চুগনগর বাজার কমিটি এবং স্থানীয় নেতাদের সহযোগীতার আমি শ্রমিক দিয়ে আমার জমি আমি প্রচীর নির্মাণ করেছি। তাতে সমস্যা কোথায় ?

বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইমলাম, এবিএম শফিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইমলাম জানান, তারা প্রচীর নির্মাণে কারো সহযোগীতা করেনি। তার উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিঃপত্তি¡র করার চেষ্টা করছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম জানান, আদালতের নির্দেশনা সেলিম গংরা অমান্য করে পাকা প্রচীর নির্মান করেছে। ফলে অনেক গুলো ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে গেছে। ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা রোববার তারা লিখিত অভিযোগ করেছে। সেলিম গংরা অবৈধ ভাবে প্রচীর নির্মাণ করেছেন। তাদের প্রচীর অপসারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ মঙ্গলবার আমার প্রতিনিধিসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সীমানা নির্ধারণে সরেজমিন আসছেন। যদি অন্যের জমির মধ্যে প্রচীর ওঠে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন