আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীনের ‘জিরো কোভিড’ নীতির বিধিনিষেধ শিথিলের সরকারি ঘোষণার পর বেইজিংসহ বিভিন্ন স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে বেশিরভাগ করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। অনেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। তবে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন জায়গায় করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক না থাকায়, স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে বহুতলি একটি ভবনে আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা। লকডাউনের কারণে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে- এমন দাবি করে শুরু হয় সরকারের কঠোর জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।
একপর্যায়ে জিনজিয়াং থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়া এ বিক্ষোভ দ্রুতই রুপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেয় শি জিনপিং প্রশাসন। রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিয়ে নেয়া হয় করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। খবর আল জাজিরার।
অনেকেই বলছেন, পর্যাপ্ত কেন্দ্র না থাকায় করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। দরকার হলেও হাতের কাছে কেন্দ্র না থাকায় যেতে হচ্ছে দূরের অন্য কোনো কেন্দ্রে। সরকারের ঘোষণার পর অনেক জায়গায় শপিং মলসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে। দ্রুতই সব ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে চীনে আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন অনেকে। একইদিনে বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডন ও তাইওয়ানে।