হোম ফিচার ওমিক্রনের আরও ১৪ লক্ষণ, জানুন বিস্তারিত

স্বাস্থ্য ডেস্ক :

মহামারি করোনভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনের সংক্রমণে ছেয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। নতুন এ ভাইরাসের উপসর্গগুলো সবই সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো। দেখা যাচ্ছে, অনেকের কাশি হলে থামছেই না। আবার কারও দুদিনের জ্বরের পর আর কোনো উপসর্গই নেই।

করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণের থেকে ওমিক্রনের সংক্রমণ একেবারেই আলাদা বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।

করোনার এ সময়ে রোগীরা বেশ ধোঁয়াশায়। কখন সাবধান হবেন অনেকেই এটা বুঝে উঠতে পারছেন না। সামান্য সর্দি কি করোনার লক্ষণ, নাকি জ্বর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ধোঁয়াশা কাটিয়ে করোনা সংক্রমণের এ সময়ে জেনে নিন ওমিক্রনের ১৪টি লক্ষণ। কোনটি কত বেশি দেখা যাচ্ছে, সেটাও জেনে নিন।

ব্রিটেনের একদল গবেষক এ সংক্রান্ত সমীক্ষা চালিয়েছন। ওমিক্রন আক্রান্তরা সবচেয়ে বেশি কোন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন সেটি প্রকাশিত হয়েছে এক বিজ্ঞান পত্রিকায়। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ১৪টি লক্ষণ-

১. নাক দিয়ে পানি পড়ার প্রবণতা ৭৩ শতাংশ।

২. মাথাব্যথা ৬৮ শতাংশ।

৩. ক্লান্তি ছাড়ছে না প্রায় ৬৪ শতাংশ

৪. হাঁচি হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর।

৫. গলা ব্যথাও হচ্ছে ৬০ শতাংশ।

৬. খুব কাশি হচ্ছে ৪৪ শতাংশ।

৭. গলা ভেঙে যাচ্ছে ৩৬ শতাংশ।

৮. কাঁপুনি হচ্ছে ৩০ শতাংশ।

৯. জ্বর আসছে ২৯ শতাংশ।

১০. মাথা ঝিমঝিম করার প্রবণতা ২৮ শতাংশ।

১১. মস্তিষ্কে ধোঁয়াশার প্রবণতা ২৪ শতাংশ।

১২. ২৩ শতাংশের পেশীতে ব্যথা, টান ধরছে ২৩ শতাংশ।

১৩. গন্ধের অনুভূতি হারাচ্ছেন মাত্র ১৯ শতাংশ।

১৪. বুকে ব্যথাও হচ্ছে ১৯ শতাংশ রোগীর।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের পর নতুন কোনো ভেরিয়েন্ট আসতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, বিশ্বের কোথাও মহামারি শেষ হয়ে যায়নি, সেই সাথে ওমিক্রনের প্রকোপ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। নতুন ধরনের আবির্ভাব হতে পারে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা সত্যিই কঠিন।

গত বছরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কারের পর ওমিক্রন দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও নতুন বছরের শুরুতে ওমিক্রনের দাপটে বিপর্যয় আবারও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ফের কঠোর পদক্ষেপ জারি করছে, বন্ধ করে দিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ওমিক্রন ধরনের লক্ষণগুলোকে কোনোভাবেই যেন মৃদু উপসর্গ মনে করা না হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার হার ও পরে তাদের মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে তার ফলাফল হবে মারাত্মক।

অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮০৮ জনের। একইসময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৮৩ জন। যা করোনার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে ১৪ জানুয়ারি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫২ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৭ কোটি ২৮ লাখ ৭ হাজার ৮২৮ জন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন