অনলাইন ডেস্ক:
তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ (অর্ডার) ধরে রাখতে সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ধীরে ধীরে গার্মেন্ট কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সব কারখানা খুলে দিতে চান তারা। তবে যেসব কারখানার অর্ডার বাতিল হয়েছে, সেসব কারখানা হয়তো নাও খুলতে পারে।
এ ব্যাপারে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শ্রমিকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া রাখা হয়েছে শরীরের তাপমাত্রা মাপা, জীবাণুনাশক দিয়ে জুতা পরিষ্কার, হাত ধোয়াসহ নানা ব্যবস্থা।
প্রতি বছর তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি করে ৩৪ বিলিয়ন (৩ হাজার ৪১৩ কোটি) ডলার আয় হয়েছিল। এই অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ বিলিয়ন (৩ হাজার ৮২০ কোটি) ডলার। এর মধ্যে বিদেশি ক্রেতারা ৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আদেশ বাতিল করলেও অধিকাংশ আদেশ এখনও বহাল আছে। কারখানার মালিকরা মনে করছেন, সময়মতো এসব অর্ডারের পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে বাংলাদেশ থেকে অর্ডার চিরদিনের জন্য হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
পুরনো অন্তত ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার যাতে হাতছাড়া না হয়, সেজন্য সব কারখানা খুলতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যেসব অর্ডার এখনও বহাল আছে, সেগুলো ঠিক রাখতে কারখানা চালু করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি মাসে গড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার থাকে। এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই এই চার মাসের অর্ডার থাকার কথা ১২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার বাতিল হয়েছে। বাকি ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার এখনও আছে। এই অর্ডার বাঁচানোর লক্ষ্যেই কারখানাগুলো খোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রেতাদের হাতে রাখতে হলে কারখানা খুলতে হবে। তার মতে, যদি একবার ক্রেতা হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে আর ফেরানো যায় না।