আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম হামাসের সদস্যরা। এ সময় ইসরাইলের দখলে থাকা বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছেন হামাস যোদ্ধারা। তাদের হাতে বেশ কিছু ইসরাইলি সেনা আটক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। খবর হারেৎজের।
শনিবার (৭ অক্টোবর) পবিত্র আল আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে ইসরাইলে হামলা শুরু করে হামাস। গোষ্ঠীটি এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশেন আল-আকসা স্টর্ম’।
ব্যাপক রকেট হামলার মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করে হামাস। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় একযোগে পাঁচ থেকে সাত হাজার রকেট ছোড়া হয়।
একইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা গাজার সীমান্তবর্তী ইসরাইলি চেকপোস্টগুলোতে অভিযান চালায় এবং বেশ কিছু চেকপোস্ট দখল করে নেয়। এ সময় বেশ কিছু ইসরাইলি সেনা নিহত হয় এবং অনেকে হামাস যোদ্ধাদের হাতে আটক হয়।
চেকপোস্ট দখলের পর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক শহরে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ঝটিকা অভিযানে তারা মোটরসাইকেল, এসইউভি ও প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করেন।
হামাসের সবচেয়ে চৌকস ইউনিট আল-কাসেম ব্রিগেড সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে তারা দাবি করেছে, জীবিত অবস্থায় বেশ কিছু ইসরাইলি সেনাকে গাজায় ধরে এনেছেন তারা। এছাড়া ইসরাইলের অন্তত একটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংসের দাবি করেছে সংগঠনটি।
আটক ইসরাইলি সেনাদের পরে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় নিয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজও। তবে কত সংখ্যক সেনা আটক হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি প্রতিবেদনে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হামলায় অনন্ত ২২ বেসামরিক ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য।
এদিকে হামাসের হামলার জবাবে আকাশপথে গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সেখানকার হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে হতাহত বহু ফিলিস্তিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এদিকে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতাানিয়াহু বলেছেন, আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি।