আশাশুনি সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
.আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে ৫০ বছরের ভোগদখলীয় জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা ও ইজারা পেতে আবেদন জানানো হয়েছে। বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর গ্রামের মৃত বুধুই গাজীর পুত্র গোলাম মোস্তফা, গাজী চম্পাখালী মৌজায় এলএ কেস নং ১৪১/৬৭-৬৮ এর আওতাভুক্ত ১০১ দাগের (হাল ৫৯৯) এক একর জমি দীর্ঘ ৫০ বছরাধিক কাল বংশ পরম্পরায় ভোগ দখল করে আসছেন। সেখানে তাদের বসতবাড়ি ও মাছের ঘের রয়েছে।
১৯৫৯ সালে সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ এর অধীর ওয়াপদার বাঁধ হয়। ১৯৬৯ সালে মোস্তফার পিতা বুধুই ৫টি দাগ উল্লেখ করে ২.১০ একর জমির মধ্যে ৫০ শতক জমি জহির উদ্দিন ও আনছার সরদারের কাছে বিক্রয় করেন। তারা ৮১, ৯৯, ১১২ ও ৭২২, দাগে তাদের ক্রয়কৃত জমি ভোগদখলে আছেন। ১০১ দাগে বুধুই’র ওয়ারেশরা ৪০ শতক জমিতে ঘর বেধে ও মাছ চাষ করে ভোগ দখলে আছেন। এছাড়া উক্ত এলএ কেস ১৪১/৬৭-৬৮ এর জমি ইজারা/বন্দোবস্ত পেতে নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ বরাবর আবেদন করেছেন।
দীর্ঘ ৫০ বছর পর প্রতিপক্ষ বুধুই’র ওয়ারেশদের দখলীয় ১০১ দাগে ৪০ শতক জমির মধ্যে তাদের ১৫ শতক জমি আছে, দাবী করে জবর দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি জোরপূর্বক ঘর বাঁধতে গেলে গোলাম মোস্তফা, বাদী হয়ে আলী হোসেনের পুত্র আজিজুল ও আদনানকে বিবাদী করে, আদালতে পি-৫৩/২০ নং মামলা রুজু করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের কাননগু গত ৮ ডিসেম্বর তদন্ত করেন। বাদী পক্ষ প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সুষ্ঠু তদন্ত ও জমি ইজারা/বন্তোবস্ত পেতে পারে সে ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
s