আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নিষেধাজ্ঞার জোরালো জবাব দিতে কাজ চলছে জানিয়ে রাশিয়া বলছে, নিজেদের অধিকাংশ স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় পশ্চিমারা দ্রুতই তা টের পাবে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বড় ধররনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ছে রাশিয়ার অর্থনীতি। রাশিয়ার সব অর্থনৈতিক ও করপোরেট খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্ররা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক দিমিত্রি বিরিচেভস্কি বলেন, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ক্ষিপ্র, চিন্তাশীল ও স্পর্শকাতর।
মঙ্গলবার ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেছিল, যদি তাদের অপরিশোধিত তেল খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে প্রতি ব্যারেল তেলের মূল্য বেড়ে যাবে ৩০০ মার্কিন ডলারের বেশি।
এক বছরে ৫০ কোটি টন তেল খরচ করে ইউরোপ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ সরবরাহ আসে রাশিয়া থেকে। এদিকে রাশিয়ার বিমান ও মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।
এতে এখন থেকে যুক্তরাজ্যে থাকা রাশিয়ার বিমান আটক করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। সে দেশে রাশিয়ার কোনো বিমানের প্রবেশ, অবতরণ বা চলাচল অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া ও ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠরা আরও বেশি অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়বেন।
বিবিসি নিউজনাইটের রাজনৈতিক সম্পাদক নিক ওয়াট বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু নয়। কারণ, আগেই সে দেশের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে রাশিয়ার প্রাইভেট জেট বিমানগুলো লক্ষ্য করা হবে, যেগুলো তৃতীয় কোনো দেশে তালিকাভুক্ত এবং রাশিয়ান ধনকুবেররা ব্যবহার করেন।