হোম অর্থ ও বাণিজ্য আমদানি শুরু হলেও কমছে না চালের দাম

বাণিজ্য ডেস্ক :

দেশের সিংহভাগ চাল উৎপাদনের জেলা দিনাজপুর। বোরোর ভরা মৌসুমে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখনও কমছে না। পাশাপাশি ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও তার কোনো প্রভাব নেই চালের বাজারে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এদিকে আমদানির পরিমাণ আরও বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চাল ব্যবসায়ীরা।

দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় ১১ মাস পর, গত ২৩ জুলাই থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে ভারত থেকে চাল আমদানি। প্রথম দিনে ৩টি ট্রাকে ভারত থেকে ১০৫ টন চাল এসেছে।

আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২৫ ভাগ নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য ৩০ জুন প্রথম ধাপে ও পরবর্তী সময়ে কয়েক ধাপে সারাদেশের ৩৮০ জন আমদানিকারককে কয়েক লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরেও কমেনি চালের দাম।

বর্তমান খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রি-২৮ চাল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৬ টাকা এবং মোটা গুটি স্বর্ণা চাল ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এ রকম চড়া দামেই চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে বাজারে চাল কিনতে যেয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। একজন ক্রেতা বলেন, এখন সব চালের দামই বেশি। শুনেছিলাম, এলসি হলে দাম কমবে। কিন্তু কমেনি তো।

চালের দাম কমানোর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করে আরেকজন ক্রেতা বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। এত দাম দিয়ে তো আমাদের পক্ষে চাল কেনা সম্ভব না।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা চালের পরিমাণ আরও বাড়লে, দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে আমদানি করা চাল ঢুকছে, তবে বাজারে তার প্রভাব এখনো পড়েনি। আশা করি, সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমবে।

দিনাজপুরের চালকল মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয়, চালের দাম কমাতে হলে সরকারকে চাল আমদানি করতে হবে। তারপর সেগুলো ভর্তুকি মূল্যে বাজারে ছাড়তে হবে। এতে চালের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন