আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফিম উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। তবে এবার দেশটিকে টপকে গেছে মিয়ানমার। তারা এবার বিশ্বসেরা অবস্থান দখল করেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অফিম উৎপাদনে এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চলেছে মিয়ানমার। দেশটিতে এবার ১ হাজার ৮০ টন আফিম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি। এছাড়া এবার আফগানিস্তানে ৩৩০ টন আফিম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। হোরোইন উৎপাদনের মূল উপদান হিসেবে আফিম ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আফগানিস্তানে চলতি বছরে আফিমের উৎপাদন কমেছে। গত বছর তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে পপি চাষ প্রায় ৯৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশটির অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণেও এটির উৎপাদন কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে মিয়ানমারে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার কারণে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটিতে বৈধ অর্থনৈতিক সুযোগের প্রাপ্যতা সীমিত, বাজার ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংকট, মুদ্রাস্ফিতিসহ নানা কারণে আর্থিক বিপর্যয় হয়েছে। ফলে দেশটিতে আফিমসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের উৎপাদনকে বিকল্প ও আকর্ষণীয় জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া দেশটির কৃষকেরাও ২০২২ সালের শেষের দিকে পপি চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বাজার হিসেবে বর্তমানে তাজা ও শুকনো আফিমের গড় মূল্য কেজিপ্রতি ৩১৭ ও ৩৫৬ ডলার। এ ছাড়া ২০২৩ সালে দেশটিতে পপি চাষের জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এ বছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৪০ একর জমিতে এ চাষ হয়েছে।
পপি মাদকের জন্য মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাউসকে একত্রে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়। আফিম ও হেরোইনের জন্য ঐতিহাসিকভাবে এ এলাকাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া আফিমের বড় অংশই মিয়ানমার ও আফগানিস্তানে উৎপাদিত হয়।